



কেন বলিউড ভাইজান ফিটনেস উৎসাহীদের ঈর্ষার কারণ হয়ে থাকেন? কেন তিনি সমস্ত ফিটনেস উৎসাহীদের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকেন?
কে বলবে তাঁর বয়েস ৫৭ পেরিয়ে গিয়েছে। সরকারি রিটায়ারমেন্ট থেকে মাত্র তিন বছর দূরে! কিন্তু সলমন খান এমনই। তিনি এমন এক সুপারস্টার, যাঁর ফ্যান শুধু ভারতে নয়, বিদেশেও ছড়িয়ে রয়েছে। আর শুধু তো সিনেমা দিয়ে নয়, তিনি সুপরিচিত শরীরচর্চা এবং বিতর্কের জন্যও। এই বয়সেও তিনি নিজের শরীরকে যন্ত্রের মতো করে রেখেছেন।




কিন্তু এই ফিটনেসের রহস্য কী? কেন বলিউড ভাইজান ফিটনেস উৎসাহীদের ঈর্ষার কারণ হয়ে থাকেন? কেন তিনি সমস্ত ফিটনেস উৎসাহীদের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকেন?
আসলে ব্যস্ত সময়সূচিতে সলমান খান প্রতিদিন কমপক্ষে এক বা দুই ঘন্টা জিমে সময় কাটান। কখনও কখনও মধ্যরাতের পেরিয়ে গেলেও জিমের দরজায় করা নাড়তে ভোলেন না। তাঁর ওয়ার্কআউট রুটিনের মধ্যে রয়েছে, বেঞ্চ প্রেস, ওজন প্রশিক্ষণ, ট্রেডমিল, সিট-আপ এবং পুশ-আপ, সার্কিট প্রশিক্ষণ এবং প্ল্যাঙ্কের মতো ব্যায়ামের মিশ্রণ।




‘দবাং’ খান শরীরকে বিশ্রাম দেওয়ার জন্য সপ্তাহে মাত্র একদিন ছুটি নেন। আর সেই দিন তিনি সাইকেল চালান। বাকি দিনগুলোতে সলমান কার্ডিও অনুশীলন দিয়ে শুরু করেন। সাধারণত তিনি এক ঘন্টার জন্য কার্ডিও করেন। কার্ডিওর পরে, চলে যান তিনি ওজন প্রশিক্ষণে। আর মাঝে মাঝে চলে যান নিজের খামার বাড়িতে। সেখানে তিনি অনেক সময় হাঁটাহাঁটি করেন। এমনকী দুই ঘন্টা দীর্ঘ ট্রেকিং সেশনে অংশ নেন।




প্রায়ই অবসর সময়ে রাস্তায় সাইকেল চালাতে দেখা যায়। সাইকেল চালানো হার্টকে সুস্থ ও ফিট রাখার একটি ভাল উপায়। তিনি টানা ৩ ঘণ্টা সাইকেল চালাতে পারেন।




সলমন সকালের খাবারে ডিমের সাদা অংশ এবং কম চর্বিযুক্ত দুধ খান। দুপুরের খাবারের জন্য, তিনি সাধারণত পাঁচটি চাপাটি, ভাজা সবজি এবং তাজা সবুজ স্যালাড খেয়ে থাকেন। রাতের খাবারের জন্য, তিনি ডিমের সাদা অংশ, ওমেগা ৩ সমৃদ্ধ মাছ বা ভেজ স্যুপের সঙ্গে মুরগির মাংস খেতে পছন্দ করেন।




দেশি খাবার পছন্দ করলেও পুষ্টি এবং স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রাখেন নায়ক। স্বাভাবিকভাবে বাড়তি চিনিযুক্ত এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার থেকে নিজেকে সংযত রাখেন। শুধু তাই নয়, প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট আর স্টেরয়েড থেকেও দূরে থাকেন সলমন খান।



