জেলের জালে ধরা পড়ে লাখ টাকার পাঙ্গাস। বাগেরহাটে শরণখোলার বলেশ্বর নদে এক জেলের জালে ৪০টি বড় পাঙ্গাস ধরা পড়ে। প্রতিটি মাঠ ৪-১০ ওজনের। ৪০টি মাছে মোট ১৬০ কেজি ওজন হয়েছে। যা বিক্রি হয় ১ লাখ টাকায়।
জানা যায়, গত রবিবার সন্ধ্যায় বলেশ্বর নদে মাছ ধরতে যেয়ে জেলে নগেন্দ্র নাথের জালে একসাথে ৪০টি পাঙ্গাস ধরা পড়ে। পরে মাছগুলো শরণখোলার রাজৈর মৎস্য অবতরণকেন্দ্রে নিয়ে আসলে রায়েন্দা বাজারের মাছ ব্যবসায়ী বেলাল হোসেন ও মনির হোসেন মাছ গুলো কিনে নেয়।
জেলে নগেন্দ্র নাথ বলেন, আমার বাড়ি পিরোজপুরের স্বরূপকাঠি এলাকায়। আমি অনুমতি নিয়ে বলেশ্বর নদে জাল ফেলে নিয়মিত মাছ ধরি। প্রতিদিনের মতো রবিবার সকালে জাল ফেলে অপেক্ষা করছিলাম।
তারপর সন্ধ্যায় জাল টান দিতেই ৪০টি পাঙ্গাস একসাথে জালে আটকে পড়ে। মাছগুলো শরণখোলার রাজৈর মৎস্য অবতরণকেন্দ্রে নিয়ে যাই।
তিনি আরো বলেন, আমি দীর্ঘ ১৫-১৬ বছর যাবত মাছ শিকার করছি। তবে একসাথে এতোগুলো পাঙ্গাস কখনো ধরা পড়েনি। মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে মাছগুলো ৬২৫ টাকা কেজি দরে ১ লাখ টাকায় বিক্রি করি।
ক্রেতা বেলাল ও মনির বলেন, আমরা নিলামে ৬২৫ টাকা কেজি দরে মাছগুলো কিনে নেই। তারপর রাতেই বাজারে ওঠানোর পর দুই ঘণ্টার মধ্যেই সব বিক্রি হয়ে যায়।
নদীর পাঙ্গাস সব সময় পাওয়া যায় না। তাই নদীর পাঙ্গাসের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। আমরা ৮০০ টাকা কেজি দরে মাছগুলো বিক্রি করে দেই।
উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা বিনয় কুমার রায় বলেন, মৎস্যসম্পদ উন্নয়নের পদক্ষেপ হিসেবে সরকার মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে ছিলেন।
মাছগুলো প্রজননের পাশাপাশি বড়ও হয়েছে। সে কারণে পাঙ্গাশগুলো নদ-নদীতে উঠে আসার ফলে জেলের জালে ধরা পড়ছে।
তথ্যসূত্রঃ আধুনিক কৃষি খামার