ঈশ্বরদী উপজেলার লক্ষিকুন্ডা ইউনিয়নের বিলকেদার গ্রামের মো. আছাব আলী প্রামাণিক গরুর খামারের সফল হয়েছেন। তিনি ঈশ্বরদীর গরু চাষিদের আইডল হিসেবে সুখ্যাতি অর্জন করেছেন।
শুধু গরু খামার করেই বছরে আনুমানিক ৫ লাখ টাকা উপার্জন করেন। তাকে গরুর খামারে সফল হতে দেখে অনেকেই খামারের দিকে ঝুঁকছেন।
জানা যায়, ২০০৬ সালে শখের বশে একটি গরু পালন শুরু করেন। তারপর ৫টি, ৭টি করে বর্তমানে তার খামারে ছোট-বড় মিলিয়ে ৪০টি গরুর রয়েছে।
এই গরু গুলোকে নিয়ে ’সোহেল ডেইরি খামার‘ নামে তার খামারের নাম করণ করছেন। আছাবের দেখাদেখি তার এলাকা ও আশপাশের বেকার যুবকেরা পরামর্শ নিয়ে গরু পালন শুরু করেছেন।
খামারি আছাব আলী প্রামাণিক বলেন, শখের বসে একটি গরু পালন শুরু করি। বর্তমানে আমার খামারে ছোট-বড় মিলিয়ে ৪০টি গরু রয়েছে।
আমি সরকারিভাবে পাঁচ বার গরু পালনের প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। বর্তমানে আমার খামারে ৩ জন শ্রমিক কাজ করছেন। আমার খামারের একটি এঁড়ে গরুর আছে যার ওজন প্রায় ২০ মণ হবে।
তিনি আরো বলেন, বেকারত্ব দূরীকরণ এবং প্রোটিনের চাহিদা কিছুটা হলেও পূরণ করার জন্য এ পেশায় এসেছি। আমি বিশ্বাস করি, যুবকরা প্রশিক্ষণ নিয়ে গরু পালন করা শুরু করলে দেশে আর বেকারত্ব থাকবে না।
আর চাকরির পেছনে ছুটতে হবে না। আমার খামারের গাভী থেকে প্রতিদিন প্রায় ১২০ লিটার দুধ সংগ্রহ করতে পারি। বাজারদর ভালো থাকায় লাভবান হতে পারছি।
তবে গরুর খাবার ও ঔষুধের দাম অনেক বেশি। তাই খরচ কিছুটা বেশি। আশা করছি গরুর খাবার ও ঔষধের দাম কমলে আরো বেশি লাভবান হতে পারবো।
ঈশ্বরদী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার মো. মোস্তফা জামান বলেন, মো. আছাব আলী প্রামাণিক গরুর খামার করে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
তার খামারটি প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের পরামর্শ মোতাবেক পরিচালনা করে থাকেন। আশা করছি তার খামার আরো বড় করতে পারবেন।
তথ্যসূত্রঃ আধুনিক কৃষি খামার