রঙিন মাছ চাষ করে সফল আসাদুজ্জামান, মাসে আয় ৬০ হাজার টাকা

গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের জিরাই গ্রামের শেখ আসাদুজ্জামান চাকরির সুবাদে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বালুরহাটে ঘুরতে গিয়েছিলেন।

 

 

সেখানে একুরিয়ামের ভেতর রঙিন মাছ চাষ করা দেখেন। সেখান থেকেই তার রঙিন মাছ চাষ করার আগ্রহ জাগে। বাড়িতে এসে পরীক্ষামূলকভাবে রঙিন মাছ চাষ করা শুরু করেন।

 

 

এখন আসাদুজ্জামানের বাড়িতে সারি সারি চৌবাচ্চা। বর্তমানে তার বাড়ির খামারে নানা জাতের প্রায় ২ লাখের মতো রঙিন মাছ রয়েছে। যার দাম প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা।

 

 

সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়া থেকে মা মাছ আমদানি করেন আসাদুজ্জামান। সেই মা মাছের পোনা বড় করে বিক্রি করেন তিনি।

 

 

শেখ আসাদুজ্জামান ওরফে বিপ্লব বেশি পড়ালেখা করেননি। ২০০৩ সালে এসএসসি পাশ করেন। তারপর ঢাকায় এসে চাকরি নেন। চাকরির সুবাদে ২০১৩ সালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বালুরহাটে ঘুরতে যান।

 

 

সেখানে একুরিয়ামের রঙিন মাছ চাষ দেখেই তার মাছ চাষের প্রতি আগ্রহ জাগে। তখন চাকরির পাশাপাশি বাড়িতে পরিক্ষামূলকভাবে রঙিন মাছ শুরু করেন। এতে সফল হন।

 

 

আসাদুজ্জামান বলেন, ২০১৫ সালে চকরি ছেড়ে বড় আকারে বানিজ্যিকভাবে মাছ চাষ শুরু করি। মাত্র ৩৫ হাজার টাকা খরচ করে বাড়ির আঙিনায় ২০-২৫ জাতের প্রায় ১৫ হাজার মাছ চাষ করেন।

 

 

দুই বছর পর নিজ গ্রামেই ৪৪ শকত জমি ইজারা নিয়ে খামার সেখানে স্থানান্তর করেন। খামার গড়ে তুলতে মাছ, বিদ্যুৎ, অবকাঠামোসহ মোট ১১ লাখ টাকা খরচ হয়।

 

 

বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করে সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়া থেকে বিশেষ ব্যবস্থায় মা মাছ আমদানি করছেন আসাদুজ্জামান। এই রঙিন মা মাছ পোনা ছাড়ছে। এই পোনা মাছ বড় করে তিনি বিক্রি করছেন। খামারে আছে অক্সিজেন ব্যবস্থা।

 

 

হাটে বাজারে যেয়ে মাছ বিক্রি করতে হয় না। অনলাইনের মাধ্যমে ঘরে বসেই রঙিন মাছ বিক্রি করছেন। এক একটি রঙিন মাছের দাম ১৫-৩৫ টাকা। বর্তমানে সকল খরচ বাদ দিয়ে মাসে ৫০-৬০ হাজার টাকা আয় করছেন।

 

 

খামারে প্রায় ৪০-৫০ লাখ টাকার মূল্যের সম্পদ রয়েছে। তিনি মলি, প্লাটি, সোর্ডটেল, গাপ্পি কমেট, জাপানি বাটারফ্লাই, কইকাপ, জেবরা দানিয়া, টাইগার বার্ব, গোরামি, এনজেল থাইটার, গোল্ডফিস প্রভৃতি মাছের চাষ করেন।

 

 

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. ফয়সাল আজম বলেন, এই জেলায় আসাদুজ্জামানই প্রথম যে রঙিন মাছ চাষ করছেন। আমরা তাকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। সে চাইলে তাকে ঋনের ব্যবস্থাও করে দেওয়া হবে।

 

তথ্যসূত্রঃ আধুনিক কৃষি খামার