কক্সবাজারের টেকনাফে গরুর খামার করে সফলতার দ্বারপ্রান্তে আজম

কক্সবাজারের টেকনাফে গরুর খামার করে সফল হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন আজম সরকার। তার খামারে বর্তমানে ৫০টি ষাঁড় ও ২০টি গাভীসহ মোট ৭০টি গরু রয়েছে।

 

 

অনেকদিন যাবত খামার করার পরিকল্পনা করছিলেন। খামার করার জন্য টাকাও জমানো শুরু করেছিলেন। জমানো টাকা দিয়ে গরুর খামার করার সিদ্ধান্ত নেন। এখন সেই খামার থেকেই লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন তিনি। গত কোরবানি ঈদে বড় বড় ২০টা গরু বিক্রি করেছেন। এতে তার বেশ লাভ হয়েছে। আগামী কোরবানির ঈদে আরো বেশি গরু বিক্রি করার লক্ষ্য নিচ্ছেন।

 

 

বিগত দুই বছর যাবত ইউটিউব থেকে দেখে খামার করা শিখেছেন। শিখার পর নিজস্ব জমিতে তিনি একটি গরুর খামার প্রতিষ্ঠা করেন। তার এই খামারে বর্তমানে ৫০টি ষাঁড় ও ২০টি গাভীসহ মোট ৭০টি গরু রয়েছে।

 

 

খামারি আজম সরকার বলেন, আমি দেশ ও বিদেশের অনেক খামার দেখে নিজে গরুর খামার করার উদ্যোগ নেই। বর্তমানে আমার খামারে মোট ৭০টি গরু আছে। প্রাকৃতিক উপায়ে কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়া গরু লালন পালন করছি। প্রতিবছর কোরবানির ঈদে গরু বিক্রি করে লাভবান হতে পারব বলে আশা করছি। আর ঈদ ছাড়া অন্য সময় দুধ বিক্রি করতে পারলে তাতেই আমি সন্তুষ্ট ইনশাল্লাহ।

 

 

তার খামারে গিয়ে দেখা যায়, বর্তমানে তিনি ৮ কানি জমিতে নেপিয়ার ঘাস চাষ করেছেন। এতে গো-খাদ্যের পর্যাপ্ত জোগান দেওয়া সম্ভব হবে। ঘাসের পাশাপাশি খৈলসহ প্রাকৃতিক উপায়ে গরু মোটাতাজাকরণে বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে। তার খামারটি বিশাল জায়গা জুড়ে রয়েছে। খামার তৈরি করতে এ পর্যন্ত তার খরচ হয়েছে প্রায় ৩০ লাখ টাকার মতো। খামারে সার্বক্ষণিক আটজন লোক কাজ করছেন।

 

 

তিনি আরো জানান, এবারের ঈদেই প্রথম গরু বিক্রি করে ৩ লাখ টাকা লাভ করেছেন। সামনে পুরো উপজেলায় দুধ বিক্রি শুরু করবেন। এতে অনেকটাই লাভ আসা শুরু করবে।

 

 

বর্তমানে ৮ জন শ্রমিক ও বাইরের একজন পশু চিকিৎসকসহ আজম সরকার দিনরাত গরুর খামারে সময় দেন। নিজেই খামার দেখাশোনা করেন। কোনো সমস্যা মনে হলে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করেন।

 

 

তিনি জানান, শাহিওয়াল, ব্রাহমা, ফ্রিজিয়ান ও দেশি জাতের গাভি ছাড়াও দেশি-বিদেশি জাতের মোটাতাজা এঁড়ে গরু ৭০টি। বাছুর আছে ৬টি। এক মাসের মধ্যে খামারে গরুর সংখ্যা ২০০ হবে বলে জানান তিনি।

 

 

আজম সরকার নিজেই খামারের জন্য উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন হাট ঘুরে দেশি-বিদেশি জাতের সৌখিন গরু কিনে আনেন। এছাড়াও গাভী গরুও আনেন যেনো খামারে গরু আরো দ্রুত বৃদ্ধি পায়।

 

 

কক্সবাজার জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা জ্যোতির্ময় ভৌমিক জানান, এটা আসলে ভালো উদ্যোগ। প্রাণীসম্পদ বিভাগ থেকে তাকে সব ধরনের পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হবে।

 

তথ্যসূত্রঃ আধুনিক কৃষি খামার