জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার যুবক আমিরুল ইসলাম মৃধা গরু পালনে স্বাবলম্বী হয়েছেন। এই উপজেলার অনেকেই বিদেশি জাতের গরু পালনে স্বাবলম্বী হয়েছে। তার মধ্যে আমিরুল একজন। দিন দিন বেড়ে উঠেছে বড় বড় খামার। অনেকেই গরু পালনে ঝুঁকছেন।
জানা যায়, আমিরুল ইসলাম মৃধা জয়পুরহাট কালাই পৌরসভার থুপসারা এলাকার বাসিন্দা। তিনি যুবক অস্ট্রেলিয়ান ফ্রিজিয়ান জাতের গরু পালন করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। তার খামারের ৪টি গরু প্রতিদিন দুধ দিচ্ছে। প্রতি লিটার দুধ ৩০ টাকা দরে বিক্রি করছেন।
আমিরুল ইসলাম বলেন, বাবা মারা যাওয়ার পর তিন শতক জমি ও মাটির তৈরী একটি ঘর এবং একটি বাছুর ভাগে পাই। গরু পালনের পাশাপাশি জমি বর্গা নিয়ে চাষ শুরু করি।
অনেক সংগ্রামের পরে এখন সফলতা পেয়েছি। বর্তমানে আমার গোয়াল ভরা গরু, পাকা বাড়ি, ৮ বিঘা জমি, দুটি পাওয়ার টিলার ও একটি মোটরসাইকেল রয়েছে। এই গরু পালনেই আমার সব হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, এবছর আমি ৩৮ বিঘা জমি বর্গা নিয়ে ধান চাষ করেছি। আশা করছি সেখান থেকে ভালো আয় করতে পারবো। অভাবের কারনে লোখাপড়া না করতে পারলেও বাবার রেখে যাওয়া গরু পালনেই আস্তে আস্তে আমার কপাল খুলতে থাকে।
আমিরুল আরো বলেন, স্থানীয় প্রাণিসম্পদ বিভাগ থেকে গাভি পালনের জন্য প্রশিক্ষণ নিয়েছি। তারপর বাড়িতে ছোট ডেইরি ফার্ম করেছি। আমার খামারে অস্ট্রেলিয়ান ফ্রিজিয়ান জাতের ৬টি গরু আছে। আশা করছি আমার খামারটি আরো বড় করতে পারবো।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. মাহফুজার রহমান বলেন, এই উপজেলার অনেক যুবক ও প্রবীণ গরু পালনে স্বাবলম্বী হয়েছেন। আমরা ক্ষুদ্র ও মাঝারি পর্যায়ের খামারিদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি।
পাশাপাশি খামারিদের সার্বিকভাবে সহযোগীতা করে আসছি। জেলার অনেকেই এখন গরু পালন করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। আমিরুল ইসলাম তাদেরই একজন।
তথ্যসূত্রঃ আধুনিক কৃষি খামার