কলাগাছের বাকল দিয়ে তৈরি করুন সুতা, দাম প্রতি মন ৮০০০ টাকা

বর্তমানে কলার উৎপাদন বেড়েছে। কলা গাছের বিকল্প কোন ব্যবহার না থাকার কারণে কলার ছড়া কাটার পর কলা গাছও কেটে ফেলা হতো। তবে বর্তমান সময়ে পরিত্যাক্ত কলাগাছের বাকল থেকে উৎপাদিত হচ্ছে ভালোমানের ফাইবার বা সুতা। এমনি এক অভিনব পদ্ধতিতে সুতা তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দির নারুয়া ইউনিয়নের শোলাবাড়িয়া গ্রামের মৃত আছির উদ্দিনের ছেলে শিক্ষিত বেকার যুবক এস কে আবু সাঈদ সাবু।

 

একটি কলা গাছের বাকল থেকে কম করে হলেও ২০০গ্রাম সুতা উৎপাদন করা যায়। কলাগাছের ছাল থেকে কাপড় বানানোর তন্তু, দড়ি, শৌখিন জিনিসপত্র এবং তাঁবু বানানোর জন্য উৎকৃষ্ট মানের সুতা বানানো যায়। এ ছাড়াও প্রাকৃতিক তন্তুর মধ্যে এটিই সবচেয়ে শক্ত, এর আর্দ্রতা ধরে রাখা এবং ত্যাগ করার ক্ষমতা অত্যন্ত চমৎকার। ৫০০০০০০ টাকা থেকে ১০০০০০০০ টাকা পর্যন্ত পুঁজি খাটিয়ে মাসে ১০ লাখ থেকে ১৫ লাখ টাকা আয় করা সম্ভব বলেও জানান সংশ্লিষ্টরা।

 

এ প্রসঙ্গে এস কে আবু সাঈদ সাবু বলেন, ভারত থেকে ধারণা নিয়ে ২০২০ সালের জুলাই মাসে পরিকল্পনা গ্রহণ করে ডিসেম্বরের শেষের দিকে পরীক্ষামূলকভাবে কাজ শুরু করি। বর্তমান এই প্রকল্প থেকে সুতা উৎপাদন করা হচ্ছে। প্রতি মণ ৬ থেকে ৮ হাজার টাকা দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

 

এক কেজি সুতা তৈরি করতে মাঝারি আকারের ৮ থেকে ১০টি কলাগাছ লাগে। বিভিন্ন বাগান থেকে পরিত্যক্ত কলাগাছ সংগ্রহ করে এ সুতা তৈরির কাজে সেটা ব্যবহার করছেন বলেও তিনি জানান।

 

বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আম্বিয়া সুলতানা বলেন, ‘এটি একটি অভিনব পদ্ধতি। প্রকল্পটি পরিদর্শন করে আর্থিক সহযোগিতার মাধ্যমে এটিকে কুটির শিল্প হিসেবে সম্প্রসারণ করার চেষ্টা করা হবে।

তথ্যসূত্রঃ আধুনিক কৃষি খামার