শরীরে ঘাতক কিডনির রোগের এই লক্ষণকে একদম হেলাফেলা করবেন না

ক্রনিক কিডনি ডিজিজ বা সিকেডি-তে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। যদিও একটা বিরাট অংশের মানুষ রোগটি সম্পর্কে খবর রাখেন না। তাই এর লক্ষণ, চিকিৎসা, ঝুঁকির কারণ জানালেন বিশিষ্ট চিকিৎসক।

কিডনির অসুখে আক্রান্তের সংখ্যা এখন বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রচুর মানুষ এই রোগে আক্রান্ত। মুশকিল হল, আক্রান্তের অনেকেই অসুখটির ব্যপকতা সম্পর্কে বিশদে জানেন না। এমনকী রোগটি যে হয়েছে, এটারও ধারণা নেই কিছুজনের। তাই কিডনি ডিজিজের লক্ষণ জানাটা সবার আগে জরুরি।

আমাদের শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হল কিডনি। দেহ থেকে নানা ক্ষতিকারক পদার্থ ফিলটার করে বাইরে বের করে দিতে পারে এই অঙ্গ। এছাড়়া নানা হরমোন তৈরি করা, ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য সহ নানা কাজ করে এই অঙ্গ। তাই এর খেয়াল রাখা জরুরি।

এদিকে বর্তমানে বৃক্কে নানা অসুখ হচ্ছে। তার মধ্যে অন্যতম হল ক্রনিক কিডনি ডিজিজ। এই অসুখে আক্রান্তের শরীরে নানা ধরনের জটিলতা তৈরি হয়। এমনকী কিছু সময় কিডনি ফেলিওর হওয়ার আশঙ্কাও থাকে।

এই প্রসঙ্গে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা: জ্যোতির্ময় পাল বলেন, কিডনির অসুখ হলে এই অঙ্গটি ফিলটার করার ক্ষমতা হারায়। ফলে শরীরে জমতে থাকে ক্ষতিকর পদার্থ। এই অবস্থায় কিডনি দুটি ছোট হয়ে যায়। এটাই হল কিডনির ক্রনিক অসুখ।

কী কী লক্ষণ থাকে কিডনি ডিজিজের?

ডা: জ্যোতির্ময় পাল জানান, অনেক উপসর্গ থাকতে পারে। এক্ষেত্রে দেখা যায়

১. খিদে কমে যাওয়া

২. দুর্বলতা

৩. অ্যানিমিয়া বা রক্তল্পতা

৪. বমি বমি ভাব

৫. বমি হতে পারে

৬. ওজন কমে

৭. ক্লান্তি আসে

৮. পা-হাত- ফুলতে পারে।

এবার এই ধরনের কোনও উপসর্গ দেখা দিলে ফেলে রাখবেন না। বরং চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ফেলুন। তবেই দেখবেন সমস্যার সমাধান করতে পারছেন। তাই চিন্তার কারণ নেই।

২. কেন এই অসুখ হয়?
ডা: জ্যোতির্ময় পাল বলেন, এখন চারিদিকে তাকালেই দেখবেন ডায়াবিটিস অসুখটিতে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এই রোগ বাড়াবাড়ি পর্যায়ে গেলে সতর্ক থাকাটা সবার আগে জরুরি। কারণ এই অসুখ কিডনির ১২টা বাজাতে পারে। এই রোগ থেকে প্রচুর মানুষ সমস্যায় ভুগছেন। এছাড়া রয়েছে হাই ব্লাড প্রেশার। উচ্চ রক্তচাপের কারণেও অনেকের কিডনিতে ক্ষতি হয়। তাই সতর্ক থাকতে হবে। এই দুটি অসুখকে নিয়ন্ত্রণে রাখা সবার আগে দরকার।

৩. কী ভাবে রোগ নির্ণয় করেন?

ডা: জ্যোতির্ময় পাল বলেন, অসুখ নির্ণয় করা খুব কঠিন কিছু নয়। রক্তের কয়েকটি টেস্ট দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে করা হয় রক্তের ইউরিয়া ও ক্রিয়েটিনিন টেস্ট। এই দুটি পদার্থ শরীরে স্বাভাবিকের থেকে অনেকটাই বেড়ে যায়। এছাড়া ইউরিন টেস্টও দেওয়া হয়ে থাকে। এই সব মিলিয়ে রোগ নির্ণয় সম্ভব হয়। আর একবার অসুখ নির্ণয় করতে পারলে নিয়ন্ত্রণে জোর দিতে হয়। তবে দুশ্চিন্তা নয়, সচেতনতা জরুরি।

৪. চিকিৎসা কী?

ডা: জ্যোতির্ময় পাল জানান, চিকিৎসা রয়েছে। রোগ প্রথম ধাপে ধরা পড়লে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। প্রথমত চেষ্টা করতে হয় ওষুধ দিয়ে রোগ নিয়ন্ত্রণ করার। খুব সহজেই কাজটা করা সম্ভব। এর পাশাপাশি ডায়াবিটিস ও ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণ করার বিষয়ে জোর দিতে হয়। এই সমস্ত কাজ একসঙ্গে করা প্রয়োজন। এবার রোগ অনেকটা বেড়ে গেলে ডায়ালিসিস করতে হবে। এছাড়া কিডনি প্রতিস্থাপন করা যেতে পারে।

৫. খাবার ও জীবনযাত্রা

ডা: জ্যোতির্ময় পাল জানান, খাবার নিয়ে আপনাকে অবশ্যই ভাবতে হবে। এক্ষেত্রে বাইরের খাবার, প্রোটিন, পটাশিয়াম যুক্ত ফল খাওয়া যাবে না। এছাড়া নুন কম খেতে হবে। খেতে পারেন কার্বোহাইড্রেট, সবজি ইত্যাদি। এছাড়া চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ব্যায়াম করুন। আশা করছি ভালো থাকতে পারবেন অনায়াসে।

বিদ্র: প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

Realted Tag:

Marketa Vondrousova Wimbledon Shoe Brush Body Pillows Pillow Cubes Purple Pillow Sanitation Towel Superfeet Insole The Woman king Showtimes Top Women Boxers in the World Electric toothbrush charger Artificial Grass for Dogs Flare Leggings 4K Laptops