ঘরের সঙ্গে থাকা পুকুরে করতে পারেন মাছ চাষ, জানুন কিভাবে?

কথায় আছে মাছে ভাতে বাঙালি। বাঙ্গালীদের একদিনও মাছ ছাড়া চলে না। বাঁজারে সব সময়ই এখন নানান রকম মাছ পাওয়া যায়। কারন বর্তমানে প্রযুক্তির দারুন বিকাশে অনেক শিক্ষিত তরুণ যুবক মাছ চাষ করে স্বাবলম্বী হচ্ছে। তারই ধারাবাহকতার আমাদের আজকেই এই পোস্ট টি।

চৈত্র বাংলা বছরের শেষ মাস। কৃষির কাজের উপযুক্ত সময়। কিন্তু চারদিকে করোনাভাইরাসের ভয়। ঘর থেকে বের হওয়াও ঝুঁকিপূর্ণ। এমন অবস্থায় ঘরের সঙ্গে থাকা পুকুরে করতে পারেন মাছ চাষ। এ সময় রুই জাতীয় মাছের পোনা আঁতুড় পুকুরে ছাড়ার উপযুক্ত সময়।

তাই এখনো আঁতুড় পুকুর তৈরি না হয়ে থাকলে, তা করার ব্যবস্থা করতে হবে। এ জন্য পুকুরের পানি শুকিয়ে গেলে নিচ থেকে পচা কাদা তুলে ফেলতে হবে। কাদা তোলা হলে শতাংশপ্রতি ১ কেজি চুন প্রয়োগ করতে হবে।

চুন দেওয়ার ১০-১৫ দিন পর পুকুরে শতাংশপ্রতি ১০ কেজি গোবর বা কম্পোস্ট সার দিতে হবে। রেণু পোনা ছাড়ার অন্তত ১৫ দিন আগে আঁতুড় পুকুরে ১-দেড় মিটার পানি জমিয়ে রাখতে হবে। আঁতুড় পুকুর তৈরি হলে মৎস্য কর্মকর্তার সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে।

পরামর্শ অনুযায়ী, আঁতুড় পুকুরে ঘন মশারির জাল টেনে কেরোসিন ও ডিজেল পরিমাণমতো ব্যবহার করতে হবে। এতে ব্যাঙাচি ও অন্যান্য জলজ পোকা মরে যাবে। পোকাগুলো মরে গেলে পানিভর্তি পুকুরে প্রতি শতাংশে ৬ ফুট পানির জন্য ১ কেজি চুন গুলে ঠান্ডা করে দিতে হবে।

রেণু পোনা মাটির পাত্রে বহন না করে পলিথিন ব্যাগে অক্সিজেন গ্যাস দিয়ে বহন করতে হবে। রেণু পোনা আঁতুড় পুকুরে সরাসরি না ছেড়ে সংগৃহীত রেণু পোনাগুলোকে পুকুরের পানির নতুন পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা দরকার।

খাপ খাওয়ানোর পর রেণু ছাড়ার তৃতীয় দিন থেকে আঁতুড় পুকুরে পরিপূরক খাবার সরবরাহ করা দরকার। পাশাপাশি পুকুরের যত্ন নিতে হবে। মাছের খোঁজ-খবর রাখতে হবে। প্রয়োজনে স্থানীয় মৎস্য কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।

তথ্যসূত্রঃ জাগো নিউজ ২৪