সারাদিন বারবার চোখ চুলকান? ঘরোয়া উপায়েই মিটিয়ে নিন সমস্যা

অনেকের নিয়মিত চোখ চুলকায়। নানা কারণে এই সমস্যা হতে পারে। কিছুজনের চুলকানি একবার শুরু হলে আর থামতে চায় না। চোখ লাল হয়ে যায়। তবে হাতের কাছে সমাধানের কিছু মেলে না।

চোখের সমস্যা অংসখ্য মানুষের রয়েছে। তারপরও এই নিয়ে সচেতনতা নেই। ঝাপসা দেখা, কম দেখার মতো অসুখ নিয়ে সকলে যতটা চিন্তিত, ঠিক ততটা ভাবতে পারেন না চুলকানি নিয়ে। এটাই মহা সমস্যার বিষয়। যদিও কয়েক জনের তো একবার চোখে চুলকানি শুরু হলে আর রক্ষে নেই। সেই পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কিন্তু কঠিন।

তবে সমাধানের আগে জেনে নিতে হবে যে কেন চোখ চুলকাচ্ছে। বেশিরভাগ সময় দেখা যায় যে চোখ চুলকানির মূল কারণ হল কয়েকটি অসুখ, এই যেমন-

ড্রাই আই

অ্যালার্জিক রাইনাইটিস

কনট্যাক্ট লেন্স ঠিকমতো না পরা

চোখে কিছু ঢুকে যাওয়া

অ্যাটোপিক ডার্মাটাইটিস বা একজিমা।

এই ধরনের অসুখের সঙ্গে লড়াই করার জন্য আপনাকে তৈরি থাকতে হবে। তবেই রোগ থেকে আপনি বাঁচতে পারবেন। কিন্তু ওষুধ বা চোখের ড্রপে সবসময় কাজ হয় না। বরং আপনি এই কয়েকটি ঘরোয়া উপায়ে সমস্যার সমাধান করে ফেলতে পারেন-

চোখে ঠান্ডা জল বা বরফ দিন
এই প্রসঙ্গে হেলথলাইন জানাচ্ছে, চোখে চুলকানির সমস্যা অনেকের হয়। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে একটা পরিষ্কার কাপড় নিয়ে ঠান্ডা জলে ভিজিয়ে নিন। তারপর তা চোখে ধরুন। এই কাজটা করতে পারলেই দেখবেন সমস্যা হু হু করে কমেছে। তাই চিন্তার কোনও কারণ নেই বললেই চলে।

চোখ ধুয়ে নিন
অনেক সময় দেখা যায় যে চোখে ধুলো-ময়লা ঢোকার কারণে এই সমস্যা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে চোখ ধুয়ে নিন। আলতো করে চোখে ঠান্ডা জল দিন। জোরে ঝাপটা দিলে চোখের ক্ষতি হয়। তখন চোখ কট কট করতে শুরু করে দেবে। তাই হাতে কিছুটা জল নিয়ে ধীরে ধীরে চোখে দিন। আশা করছি সমস্যা কমবে দ্রুত।

হালকা গরম ভাপ দিতে পারেন

অনেক সময় দেখা যায় যে চোখে চুলকানি কমে যায় হালকা গরম জলের ভাপ দিতে পারলে। এক্ষেত্রে হালকা করে একটা কাপড় গরম করুন। তারপর তা চোখের উপর ধরুন। আশা করছি কিছু সময়ের মধ্যেই সমস্যা কমবে। তবে দিনে একবার দিলে হবে না। বরং ২ থেকে ৩ বার দিন।

আই ড্রপ
কিছু আই ড্রপ ওষুধের দোকানে প্রেসক্রিপশন ছাড়াই পাওয়া যায়। এগুলি অনেকটাই সুরক্ষিত। সেই ওভার দ্য কাউন্টার আই ড্রপ চোখে কয়েক ফোঁটা দিন। এতে অ্যালার্জির সমস্যা কমবে। তাই চিন্তার কারণ নেই বললেই চলে। যদি এরপরও সমস্যা থাকে তবে অপেক্ষা নয়। সোজা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ফেলুন। তবেই রোগ থেকে নিস্তার পাবেন।

বিদ্র: প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।