ব্রেস্ট’ফিডের সময়কালেও কি প্রে’গ’ন্যান্ট হওয়া সম্ভব? জানুন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ

এলএএম-এর সাহায্যে কনট্রাসেপশন নিশ্চিত করতে চাইলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শমতো চলুন৷ তিনি বললে পুরোপুরি এর ওপর নির্ভর না করে অন্য কোনও নিরাপদ পদ্ধতির সাহায্য নিন৷ কারণ মা ও সন্তানের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে চাইলে দুটি সন্তানের জন্মের মধ্যে কম করে দু-বছরের ব্যবধান রাখা জরুরি৷

অবশ্যই সম্ভব৷ যদিও সাধারণ ধারণা এবং যার যথেষ্ট বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে যে বুকের দুধ খাইয়ে গেলে পিরিয়ড এবং ওভুলেশন কিছুই হয় না বেশ কয়েক মাস। তাই সহ’বাস করলেও হয় না৷ কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মত হল, এতে অনেক সময় কাজ হলেও ১০০ শতাংশ সুরক্ষার গ্যারান্টি নেই৷ তাই এই তথ্যের ওপর ভিত্তি করে অসুরক্ষিত সহ’বাস করলে বিপদে পড়ার সম্ভাবনা আছে৷

না, ভুল নয়৷ তবে কিছু বিষয় রয়েছে৷ যদি বাচ্চাকে কেবলমাত্র স্তনপান করিয়ে রাখেন, জল বা অন্য কোনও তরল না দেন এবং তার সঙ্গে আরও বেশ কয়েকটি নিয়ম মেনে চলেন, তাহলেই একমাত্র প্রে’গন্যান্টের সম্ভাবনা কমে যায়৷ কিন্তু যদি সব নিয়ম মান্য করে চলতে না পারেন, ভাসা ভাসা ধারণার উপর ভিত্তি করে অসুরক্ষিত সহ’বাস করেন, বিপদে পড়ার আশঙ্কা প্রতি পদে!

বিশেষজ্ঞদের মতে, পিরিয়ড হচ্ছে না বলে ধরে নিলেন সুরক্ষিত৷ অথচ এরই মাঝে যে ওভুলেশন হয়ে যাবে না, তার গ্যারান্টি কী? ওভুলেশন তো হয় পিরিয়ডের ১৫ দিন আগে৷ একটা পিরিয়ড মিস করেছেন বলে পরেরটাও যে হবে না, এমন তো নয়, বিশেষ করে যদি সব নিয়ম না মানেন৷ শরীর হয়তো পরের পিরিয়ডের জন্য তৈরি হচ্ছে, তারই প্রস্তুতি হিসেবে ১৪-১৫ দিন আগে ওভুলেশন হল, আর সে সময় অসুরক্ষিত সহ’বাসও হল৷ ব্যাস!

ব্রেস্ট ফিডিং কখন সুরক্ষা দেয়?
বুকের দুধ যখন তৈরি হতে থাকে, তখন পিছতে থাকে পিরিয়ড৷ এই সময়টা সাধারণভাবে নিরাপদ বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা ৷ অনেক মহিলা এই সময়টাকে কনট্রাসেপশনের হাতিয়ার হিসেবে ধরে নেন, যাকে বলে ল্যাকটেশনাল আমেনোরিয়া মেথড বা এলএএম৷ কিন্তু এই সময়টিকে যথার্থ অর্থে অর্থাৎ ৯৮ শতাংশ নিরাপদ রাখতে গেলে কয়েকটি নিয়ম মানা দরকার৷ যেমনঃ

সন্তানের বয়স ৬ মাসের কম হতে হবে৷

দিনে কম করে চার ঘণ্টা অন্তর বুকের দুধ খাওয়াতে হবে ও রাতে ৬ ঘণ্টা অন্তর৷

বাচ্চাকে বুকের দুধ ছাড়া আর কিছু খাওয়ানো যাবে না৷ এমনকী দুধ পাম্প করে বোতলে ভরে রেখে না খাওয়ানোও ভালো৷

বুঝতেই পারছেন বাচ্চার বয়স বাড়তে থাকলে, বুকের দুধের সঙ্গে অন্য কোনও তরল বা কঠিন খাবার খেতে শুরু করলে বা রাতভর ঘুমিয়ে কাটালে এলএএম কার্যকর হবে না৷

গর্ভসঞ্চার হয়ে গেলে কি সন্তানকে ব্রেস্টফিড করানো যাবে?

যাবে না এমন নয়৷ তবে দু-রকম সমস্যা হতে পারে কিছু ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রথমত বুকে দুধ তৈরি করতে প্রচুর ক্যালোরি খরচ হয় মায়ের৷ গর্ভের সন্তান যখন তিন মাস পার করে, তাকে পুষ্টি দিতেও কিছু ক্যালোরি যোগান দিতে হয়৷ পুষ্টিকর খাবার পেটভরে খেয়ে সে ক্যালোরি পেয়ে গেলে কোনও সমস্যা নেই৷ কিন্তু গর্ভসঞ্চারের সূচনাতে মায়ের যদি আবার বমি, গা-বমি ইত্যাদি শুরু হয়ে যায়, সমস্যা হতে পারে৷

বুকের দুধ খাওয়ালে সামান্য পরিমাণে অক্সিটোসিন তৈরি হয় শরীরে৷ তা থেকে পেটে হালকা ক্র্যাম্প ধরা ব্যথা হতে পারে৷ বিরল দু-এক ক্ষেত্রে এই ব্যথার হাত ধরে সময়ের আগে প্রসবের সূচনা হয়ে যেতে পারে৷

Realted Tag:

Marketa Vondrousova Wimbledon Shoe Brush Body Pillows Pillow Cubes Purple Pillow Sanitation Towel Superfeet Insole The Woman king Showtimes Top Women Boxers in the World Electric toothbrush charger Artificial Grass for Dogs Flare Leggings 4K Laptops