দ্রুত ওজন কমাতে সাহায্য করবে ডিমের এই জাদুকরী ৭ দিনের ডায়েট

খাবারে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দিশেহারা অবস্থা। আবার সঠিকভাবে শরীরচর্চা না করায় ওজন বেশি বেড়ে যায়। অনেক সময় এই ওজন দ্রুত কমানোর প্রয়োজন পড়ে নানা কারণে। তখন অনেকে ওজন বিভিন্নভাবে কমানোর পথ খোঁজেন। অনেক রকমের এক্সারসাইজ,ডায়েটেও যখন কমছে না ওজন তখন আপনার উপকারে আসতে পারে ডিম। অবাক হচ্ছেন, ডিম কিভাবে উপকারে আসবে? ডিমের ৭ দিনের ডায়েট ঝরাবে আপনার শরীরের প্রায় ১০ কেজি মেদ। আসুন জেনে নেই ডিমের সেই জাদুকরী ডায়েট প্ল্যান।

রোববারঃ ব্রেকফাস্ট- ফল ও দুটো সেদ্ধ ডিম, লাঞ্চ- ফল, ডিনার- সালাদ ও গ্রিলড চিকেন

সোমবারঃ ব্রেকফাস্ট- একটা ফল, ২টো ডিম সেদ্ধ। লাঞ্চ- ফল, পাউরুটি। ডিনার- সালাদ, গ্রিলড চিকেন

মঙ্গলবারঃ ব্রেকফাস্ট- একটা ফল, ২টো ডিম সেদ্ধ। লাঞ্চ- গ্রিন সালাদ ও গ্রিলড চিকেন। ডিনার- দুটো সেদ্ধ ডিম, সালাদ ও কমলালেবু।

বুধবারঃ ব্রেকফাস্ট- একটা ফল, ২টো ডিম সেদ্ধ, লাঞ্চ- চিজ, টমেটো, পাউরুটি, ডিনার- সালাদ ও গ্রিলড চিকেন।

বৃহস্পতিবারঃ ব্রেকফাস্ট- ফল ও দুটো সেদ্ধ ডিম। লাঞ্চ- ফল, ডিনার- সালাদ ও গ্রিলড চিকেন।

কিছু নিয়ম মেনে চলুন –

প্রতি তিন ঘণ্টা পরপর তরল বা নরম খাবার খেতে হবে। রাতে প্রতিদিন ছয় ঘণ্টা ঘুমাতে হবে এবং খুব সকালে উঠেই সকালের খাবার সেরে ফেলতে হবে।
* প্রতি বেলায় যে খাবারটি খাওয়া হবে, অবশ্যই তা ২০০ গ্রামের মধ্যে হতে হবে এবং খাবার অবশ্যই উচ্চ প্রোটিনযুক্ত অ্যান্টি-অক্সিডেনটসমৃদ্ধ হতে হবে। এ ছাড়া দিনের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে, তবে অবশ্যই সেটা ঠান্ডা পানি হওয়া যাবে না।

মেয়েদের ওজন কমানোর উপায়
প্রোটিনের ক্ষেত্রে ডিমের সাদা অংশ, সেদ্ধ মুরগি অথবা রান্না সু৵প খেতে হবে। সামান্য তেল দিয়ে রান্না করতে হবে। শর্করার ক্ষেত্রে গম, আটার খাবার, সেদ্ধ নুডলস এবং লাউ-পেঁপে ইত্যাদি সেদ্ধ অথবা সু৵প করে খেতে হবে। সঙ্গে সালাদ খেতে ভুলবেন না।

ডুবো তেলে ভাজা, অতিরিক্ত ফ্যাটসমৃদ্ধ এবং মিষ্টিজাতীয় খাবার, কোমল পানীয় অবশ্যই বাদ দিতে হবে। দুধের পরিবর্তে টকদই অথবা দুধের সর বাদে তৈরি খাবার খেতে হবে। খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে নিয়মিত ব্যায়ামও করতে হবে। ওজন অনুযায়ী ব্যায়াম করতে হবে।

প্রতিদিন এক ঘণ্টা খুব দ্রুত হাঁটতে হবে। কারও যদি শরীরের কোনো নির্দিষ্ট জায়গার ফ্যাট বেশি থাকে, তাহলে সে জায়গাগুলোর ব্যায়াম করতে হবে। কোনো ব্যক্তি কতটুকু খাবার খাবেন, তা তাঁর উচ্চতা, বয়স, ওজন ও পরিশ্রমের ওপর নির্ভর করবে। বিশেষজ্ঞরা এ বিষয়ে পরামর্শ দিতে পারবেন।