কিভাবে চিকন হওয়া যায় এই ধরনের প্রশ্ন প্রায়ই আমাদের ইনবক্সে আসে। মূলত এই পোস্টে ডায়েটিং কিভাবে করা হয় এবং নিজেকে কিভাবে অতি দ্রুত চিকন করা যায় সেই বিষয়ে লেখা হয়েছে এবং সহজে প্রাকৃতিক উপায়ে slim বা চিকন হওয়ার টিপস গুলো সহজ ভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
কিভাবে দ্রুত চিকন হওয়া যায়
দ্রুত চিকন হতে হলে সর্বপ্রথম জানতে হবে মানুষ কি কারণে মোটা হয় এবং বেশির ভাগ সময়ে এক্ষেত্রে দেখা যায় মানুষ তার খাদ্য অভ্যাস ও তার বংশগত কারনে বা বংশগত বৈশিষ্ট্য এর জন্য বেশি দ্রুত মোটা হয়। এবং মানুষের বিভিন্ন ধরনের কার্য অভ্যাসের কারনেও শরীরে মেদ বেড়ে যায়। তাই চিকন হতে হলে কিভাবে মোটা থেকে রোগা হওয়া যায় সে বিষয়ে সঠিক ভাবে নজর রেখে দৈনন্দিন কাজ কর্ম ও খাদ্য অভ্যাস গড়ে তুলতে হয়। এবং বিভিন্ন শারীরিক ব্যায়াম ও নির্দিষ্ট দিক নির্দেশনা অনুসরণ করে চলতে হয়। যেমন –
চিকন হওয়ার খাদ্য তালিকা : চিকন হওয়ার জন্য খাবার মেনু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আসলে নিজেকে slim বা চিকন করতে হলে খাদ্য তালিকাটাও smart হতে হবে যেনো তা একদিকে শরীরের প্রয়োজন মেটায় এবং অন্যদিকে শরীরকে চিকন রাখে বা শরীরকে চিকন করতে সাহায্য করে।
চিকন হতে হলে মনে রাখতে হবে খাবার তালিকায় যেনো চর্বি জাতীয় খাবার বেশি রাখা না হয়। কারণ চর্বি জাতীয় খাবার শরীরে মেদ বাড়ায় ও শরীরকে দ্রুত মোটা করে। তাছাড়া নিয়মিত লেবু বা চিনি মুক্ত লেবুর শরবত ও খাদ্য তালিকায় শশার সালাদ শরীর চিকন বা slim করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
চিকন হওয়ার ডায়েট চার্ট : ডায়েট করতে হলে smart ডায়েট চার্ট তো ফলো করতেই হবে। আর এজন্য সর্বদা খেয়াল রাখতে হবে ডায়েট চার্টে সেসব খাবার যেন না থাকে, যা শরীরে চর্বি বাড়ায় ও শরীর মোটা করে। যেমন: মাখন, ঘি, গরুর মাংস জাতীয় খাবাব থেকে দূরে থাকতে হবে কারণ এগুলো শরীরে চর্বি বা মেদ বাড়ায়। তাছাড়া অতিরিক্ত মোটা হলে অবিজ্ঞতা সম্পন্ন ডাক্তারের সঠিক ডায়েট চার্ট মেনে চলতে পারলে ভালো রেজাল্ট পাওয়া যায়।
চিকন হওয়ার ব্যায়াম : শরীর মোটা থেকে চিকন করতে ব্যায়াম অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এক্ষেত্রে কেউ জিমে গিয়ে ব্যায়াম করতে পারে আবার চাইলে ঘরে বসেও বিভিন্ন ধরনের ব্যায়াম করতে পারে। বিশেষ করে চিকন হওয়ার জন্য জগিং একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যায়াম যা শরীরের চর্বি কমাতে সাহায্য করে। এবং জোরে জোরে হাঁটা ও সাতার কাটা চিকন হওয়ার জন্য ভালো ব্যায়াম।
মেয়েদের ওজন কমানোর উপায় :
অনেক সময় অনেক মেয়েরাই নিজেকে আরো smart ও আকর্ষণীয় করতে শরীরের ওজন কমাতে চায়। আর মূলত এই পোস্টের Tips গুলো যারা শরীরের ওজন কমাতে চায় ও শরীর চিকন করতে চায় তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তবে মনে রাখতে হবে নিয়ম না মেনে, না খেয়ে অধিক ডায়েট করে শরীর অসুস্থ করা যুক্তিযুক্ত নয়।
ছেলেদের ওজন কমানোর উপায় : আজকাল slim ও smart হওয়ার ক্ষেত্রে মোটা শরীরকে চিকন করা ও শরীরের অধিক ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখাটা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এই পোস্টের টিপস গুলো ছেলে ও মেয়ে প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই সমান গুরুত্বপূর্ণ।
চিকন হওয়ার জন্য শর্টকাট টিপস বা নিয়ম …অর্থাৎ জিমে না গিয়ে বাড়তি বা অতিরিক্ত ওজন কমানোর জন্য এক্সক্লুসিভ সব টিপস [টোটাল সলুয়েশন]… সবার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি পোস্ট …কারন শুধু চিকন হওয়ার জন্য নয় , সুস্থ থাকার জন্যও এই নিয়ম গুলো আপনাকে মেনে চলতে হবে … এর চাইতে বেস্ট সলুয়েশন আর কোথাও পাবেন না … পোস্টটা মন দিয়ে একবার পড়ুন তাহলে সব বুঝতে পারবেন …
নোটঃ -নিজের প্রয়োজনে শেয়ার করে পোস্ট লিংক সেইভ রাখুন না হলে পরে আবার খুজতে হবে !
মেদবিহীন, ছিপছিপে সুন্দর স্বাস্থ্য সবার প্রিয়। আর সবাই চায় নিজের সুগঠিত, সুগড়ন ও কার্যক্ষম শরীর। এই প্রত্যাশা পূরণ সহজ কাজ নয়। খাওয়ার সংযম এবং নিয়মিত শরীরচর্চায় ব্রত শক্ত মনের মানুষই স্বাভাবিক ওজন ও সুস্থ শরীর নিয়ে বেঁচে থাকেন। এ জন্য অহেতুক জিমে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। এ জন্য খুব বেশি প্রচেষ্টা বা জোগাড়যন্ত্রের প্রয়োজন পড়ে না। কতিপয় বদঅভ্যাস ত্যাগ করতে হবে…
বর্তমান যুগে অধিকাংশ মানুষের ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হয়- বেশি হওয়াটাই সমস্যা। স্বাভাবিকের চেয়ে ওজন কম হওয়া খুব একটা সমস্যা নয়, যদিনা অস্বাভাবিক রকম কম হয়। তাছাড়া ওজন বাড়ানো তেমন একটা কঠিন কাজ না। বেশি বেশি খেয়ে বেশি বেশি ঘুমালেই এমনি এমনি ওজন বাড়ার কথা। এজন্য এখানে ওজন কমানোর জন্য কিছু পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য যে, ওজন কমানোর একমাত্র পন্থা হচ্ছে প্রয়োজনের চেয়ে কম ক্যালরি গ্রহণ করা কিংবা বেশি ক্যালরি গ্রহণ করলে সেটি বার্ন করা। অতিরিক্ত ক্যালরি বার্ন না করলেই ওজন বেড়ে যাবে। আর ওজন কমানো মানে যতটা সম্ভব মেদ-ভুঁড়ি (ক্ষতিকর জিনিস) কমাতে হবে, মাংশপেশী কমানো লক্ষ্য নয়। বরঞ্চ মেদ-ভুঁড়ি কমিয়ে সম্ভব হলে মাংশপেশী বাড়াতে হবে।
প্রথমেই পুষ্টিকর খাবার (Nutritional food) ও জাঙ্ক খাবার (Junk food: little nutritional value and often high in fat, sugar, salt, and calories) সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে। জাঙ্ক খাবারগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে প্রায় সকল প্রকার প্রক্রিয়াজাত খাবার (Processed foods)। যেমন: চিনি, চিনি ও লবন দিয়ে তৈরী করা খাবার, বাজারে তৈরী করা সকল প্রকার পানীয় ও জুস, ক্যান্ডি, গাম, চকোলেট, কেক-কুকিজ, ভাজাপোড়া খাবার, পিৎজা, হ্যামবার্গার, ইত্যাদি। স্রেফ জাঙ্ক খাবারগুলো এড়াতে পারলেই ওজন কমানোর জন্য অনেকটাই কাজ এগিয়ে গেল। পুষ্টিকর খাবারগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে প্রায় সকল প্রকার শাক-সব্জি, ফল-মূল, বাদাম ও বীচি (nuts and seeds), ডাইল, ডিম, দুধ, মাছ, মাংশ (lean meats), ব্রাউন রাইস, whole wheat products, ইত্যাদি।
মোটা হওয়ার কারণ
1) ওজন বাড়ার অন্যতম কারণ অতিরিক্ত খাওয়া। নিয়ম অনুযায়ী খাবেন
2) শরীরে খাবারের প্রয়োজন নেই অথচ ভালো খাবার দেখলে খেতে ইচ্ছে করে বলে অনেকে সারা দিন খান। এতে শরীরে মেদ জমে
3) সারাদিন শারীরিক পরিশ্রমের অভাবে ওজন বাড়ে
4) বংশগত কারণে মোটা হওয়ার প্রবণতা থাকে। খাবার যখন কম থাকে, জিন শরীরে ফ্যাটের স্টোরেজ বাড়িয়ে দেয়। এরপর খাবার বেশি খেলে এবং শক্তি ক্ষয় কম হলে ওজন বেড়ে যায়…
ওজন কমানোর জন্য কিছু পরামর্শ-
প্রথমেই ওজন কমানোর জন্য মনস্থির করতে হবে। একটি নির্দিষ্ট দিন থেকে শুরু করার জন্য মনস্থির করুন। যেদিন থেকে শুরু করবেন সেদিনের ওজন নোট করে রাখুন।
✮ পর্যাপ্ত পরিমানে পানি খান কারন পর্যাপ্ত পানি আপনার শরীরের সকল অংশের কাজকে সুষ্টুভাবে পরিচালনা করার জন্য খুবই দরকারি ।
ইংরেজীতে বলা হয়,
“the more you drink, the better your chances of staying thin”
✮ ছোট প্লেটে খাবার খান। এতে বেশি খাওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে
✮ আমিষ (প্রোটিন) সমৃদ্ধ খাবার যেমন-মাছ, ডাল ইত্যাদি প্রচুর পরিমাণে খান। প্রটিন শরীরের মেটাবলিজম বাড়ায় ও চর্বি পোড়ায়।
✮ খালি পেটে সকালে এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে এক চা চামচ মধুও এক পিস লেবু দিয়ে খেয়ে নিন।
✮ প্রতিবেলা খাওয়ার আগে এক গ্লাস পানি পান করবেন।
✮ আঁশ বহুল খাবার বেশি করে খাবেন।
✮ মাংস বা নদীর মাছের পরিবর্তে সামুদ্রিক মাছ বেছে নিন।
✮ প্রতিবেলা খাওয়ার পর এক কাপ চা(দুধ, চিনি ছাড়া) পান করুন।
✮ জুসের পরিবর্তে বেশি করে মৌসুমি টকজাতীয় ফল খাবেন।
✮ রাত ৮টার পর খাবার না খাওয়াই উচিত।
✮ রাতে ঘুমের আগে এক গ্লাস পানিতে দুই চা চামচ ইসবগুলের ভুসি দিয়েই খেয়ে নিন।
✮ নিয়মিত ব্যায়াম করুন, দাওয়াত কিংবা ভূরিভোজে …দাওয়াত এড়াতে না পারলে আমরা যা করব তা হল-
✮ খাওয়ার আগে এক গ্লাস পানি পান করব।
✮ খাবারে পর্যাপ্ত সালাদ যোগ করব।
✮ মাংসের চর্বি যতটা সম্ভব বাদ দিয়ে খাব।
✮ ঘরে ফিরেই এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে অর্ধেক লেবুর রস দিয়ে পান করব।
✮ ঠাণ্ডা পানি বা কোনো রকম সফট ড্রিংকস পান করব না।
✮ দুপুর বা রাতে যে বেলাতে দাওয়াত খাব, সেদিন অন্য বেলায় খুব সামান্য খাবার খাব।
✮ বাইরের খাবার না খেয়ে বাসার খাবারে অভ্যস্ত হোন। এতে আপনার খাদ্যে প্রয়োজন অনুযায়ী চর্বি, চিনি এবং লবণ পাবেন
✮ প্রচুর সালাদ খাবেন, সালাদের সাথে ভিনেগার মিশিয়ে নেবেন
✮ ফল ও সবজি বেশি খান তাতে আপনা আপনি চর্বি ও শকর্রা যুক্ত খাবার কম খাওয়া হবে
স্বাভাবিক উপায়ে ওজন কমানো শর্ট ডায়েট টিপস
ওজন কমানোর সবচেয়ে ভালো প্রাকৃতিক উপায় হলো এমন ডায়েট মেনে চলুন যাতে বেশি পরিমাণে কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট এবং ফাইবার আছে, মাঝারি পরিমাণে প্রোটিন আছে এবং কম পরিমাণে ফ্যাট আছে। যারা অফিসে যান তারা ব্রেকফাস্টটা খেয়ে দুপুরের খাবার অফিসে যাওয়ার সময় লাঞ্চ হিসেবে নিয়ে যান।
শর্ট ডায়েট টিপস
1) আলু, কুমড়ো, কাঁচা কলা খাবেন না
2) ছাঁকা তেলে ভাজা কিছু খাবেন না; তা সে বেগুন হোক বা পটল ভাজা হোক
3) অ্যালকোহল, এনার্জি ড্রিংকস, হেলথ ড্রিংকস, সফট ড্রিংকস খাবেন না
4) চিনি একেবারেই খাবেন না, প্রয়োজনে সুইটনার চলতে পারে
5) গরু, খাসির মাংস ও চিংড়ি মাছ মোটেই খাবেন না
6) আপনার পছন্দ-অপছন্দের খাবার, বর্তমান খাদ্যাভ্যাস ও বাজেটের ওপর ভিত্তি করে ডায়েট চার্ট তৈরি করুন
7) কোন ধরনের কাজের সঙ্গে আপনি যুক্ত তার ওপর নির্ভর করবে আপনার পারফেক্ট ডায়েট
আপনার ডায়েটে যাতে ফাইবার, ভিটামিন, মিনারেল এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যথেষ্ট পরিমাণে থাকে সেদিকে লক্ষ রাখুন
9) প্রতিদিনের ডায়েটে হোলমিল এবং বিভিন্ন ধরনের দানাশস্য রাখুন, কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট, যেমন-হোলহুইট ব্রেড, রাইস, ওটস মিল, হোল মিল পাস্তা, বার্লি, ব্রাউন রাইস খান প্রয়োজনমতো
10) ওবেসিটি কমিয়ে সুস্থ থাকার জন্য প্রতিদিন যথেষ্ট পরিমাণে ফল ও শাকসবজি খান
অসময়ে খিদে পেলে করণীয়
অসময়ে খিদে পেলে হেলদি স্ন্যাক্স খান। লাঞ্চ এবং ডিনারের মাঝে ৩-৪ ঘণ্টা পর পর হেলদি স্ন্যাক্স খেতে পারেন। খুব খিদে পেলে শুকনো রুটি বা টোস্ট বিস্কুট খান। ফলও খেতে পারেন। লাউ বা অন্য সবজির রস বা সিদ্ধ শাক সবজি খেতে পারেন। বেশি রাতে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার কম খাবেন।
ওজন কমানোর বিশেষ ডায়েট চার্ট
✮ চর্বিতে অনেক ক্যালরি আছে। শর্করা বা আমিষের চেয়ে এর পরিমাণ দ্বিগুণ (প্রতি গ্রামে ৯ ক্যালরি), যেটি একজন মানুষ, যে তার ওজন কমাতে চাইছে, তার জন্য একটি দুঃসংবাদ।
✮ অন্য ক্যালরির উৎসের চেয়ে চর্বি দ্রুত দেহে সঞ্চিত হয়। তাই চর্বির গ্রহণ কমানোর মাধ্যমে ওজন কমানোর চেষ্টা করতে পারেন।
✮ যে চর্বি আপনি খাচ্ছেন তা আপনার ওজন বাড়ানো ছাড়াও আরও কিছু ভয়াবহ রোগের আশঙ্কা বাড়াতে পারে। তাই স্নেহজাতীয় খাবার কম গ্রহণ করার মাধ্যমে ওজন কমাতে পারবেন এবং সুস্থও থাকতে পারবেন।
✮অল্প অল্প করে বারবার খাবেন, অনেকক্ষণ না খেয়ে থেকে অতিরিক্ত ক্ষুধা নিয়ে বেশি খাবার খাবেন না।
✮ যথাসম্ভব বর্জন করুন ফাস্টফুড, কোমল পানীয়, ভাজা, তৈলাক্ত খাবার, খাবারের মধ্যবর্তীকালীন খাবার।
✮ খাবারের শেষে মিষ্টিজাতীয় খাবার খাবেন না। চিনি বা মিষ্টিজাতীয় খাবার পরিহার করুন বা একেবারে কমিয়ে খান।
✮ বেশি করে শাকসবজি ও ফলমূল খান। বেশি মাছ খান, চামড়া ছাড়া মুরগি আর কম লাল মাংস খাওয়ার অভ্যাস করুন।
✮ ডিম ভাজি বা পোচ বাদ দিয়ে সেদ্ধ ডিম খান। একটা পুরো ডিমের বদলে দুটো ডিমের সাদা অংশ খেতে পারেন।
✮ দুধ-চিনি ছাড়া হলে চা-কফি খেতে কোনো বাধা নেই। কৃত্রিম চিনি ব্যবহার করতে পারেন।
✮ রান্নায় বেশি পানি ব্যবহার করুন। তেল, মসলা যতটুকু সম্ভব কমিয়ে দিন।
✮ রান্নায় তেল কমানোর জন্য ননস্টিক প্যান ব্যবহার করতে পারেন।
✮ দই, নারকেল, ঘি, ডালডা✮ এসব দিয়ে রান্না করবেন না। ভুনা খাবার বাদ দিন।
✮ সারা দিন প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। ছয় থেকে আট গ্লাস। খাওয়ার আগে এক থেকে দুই গ্লাস পানি পান করুন, এতে দ্রুত ও দীর্ঘস্থায়ীভাবে আপনার পেট ভরার অনুভুতি আসবে।
✮ খাবার গেলার আগে খুব ভালো করে চিবিয়ে নিন।
✮ যদি সেটা সবজি না হয় তবে রান্নার সময় খাওয়ার অভ্যাস বাদ দিন। খাওয়ার সময় টিভি দেখা, খবরের কাগজ পড়া আর বন্ধু বা পরিবারের অন্যদের সঙ্গে গল্প করা থেকে বিরত থাকুন।
✮ স্নেহবর্জিত দুধ বেছে নিন কিংবা দুধ জাল দিয়ে ঠান্ডা করার পর সর সরিয়ে নিন।
✮ সালাদে কোনো মাছ বা মাংসের টুকরো মেশাবেন না। বরং কিছু মসলা যোগ করতে পারেন✮ তাজা ফল খান, কাস্টার্ড বা জুস হিসেবে নয়।
✮ উচ্চ ক্যালরির খাদ্যগুলো বাদ দিয়ে নিম্ন ক্যালরির খাদ্য দিয়ে একটা সুষম খাদ্য তালিকা তৈরি করুন এবং তা মেনে চলুন।
মনে রাখবেন, অনেকে মেদ কমাতে গিয়ে খাওয়া একেবারেই কমিয়ে দেন। এতে প্রয়োজনীয় শক্তির অভাবে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই ঢালাওভাবে সব খাবার না কমিয়ে প্রথমে তেল ও চর্বিযুক্ত খাবার কমান, এরপর ধীরে ধীরে অন্যান্য খাবার কমাবেন। তবে অবশ্যই নির্দিষ্ট মাত্রায়।
ওজন কমানোর জন্য যেসকল ব্যায়াম আপনি করবেন
হালকা ব্যায়াম থেকে আস্তে আস্তে ভারী ব্যায়ামের অভ্যাস করুন। অল্প ব্যায়ামও আপনার দেহের অনেক উপকার আনতে পারে।
প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট শারীরিক পরিশ্রম করুন। যদি একটানা ৩০ মিনিট শরীরচর্চা না করতে পারেন, তাহলে ১০ মিনিট করে দিনে তিনবার করুন।প্রথম দিকে টানা ৩০ মিনিট পরিশ্রম করা আপনার জন্য খুব কষ্টসাধ্য হতে পারে।তাই ব্যায়ামের সময় কিছুক্ষণ বিরতি নিন। খুব ভালো হয়, যদি প্রতিদিন অল্প অল্প করে শারীরিক পরিশ্রমের অভ্যাস করা যায়। সপ্তাহে অন্তত তিন দিন দৈহিক শ্রমের অভ্যাস করুন।
✮ এমন কিছু দিয়ে শুরু করুন, যা আপনার জীবনধারার সঙ্গে মানিয়ে যায়।হাঁটা সবচেয়ে ভালো। বিকল্প হিসেবে ২০ থেকে ৩০ মিনিট সাঁতার কাটা, সাইকেল চালানো বা টেনিস খেলার কথা চিন্তা করতে পারেন।
✮ শারীরিক শ্রমের জন্য নিয়মতান্ত্রিকতা মেনে চলুন।
প্রতিদিন কীভাবে কাজের হিসাব করবেন, তা নির্ধারণ করুন সকাল…
চিকন হওয়ার ব্যায়াম
✮ একটা স্থির বাইসাইকেল ব্যবহার করুন, যখন আপনি খবরের কাগজ পড়েন।
✮ বিছানার পাশে একজোড়া হাঁটার জুতা বা কেডস আর কাপড় রাখুন। অন্য কাজের আগেই সকালে উঠে একটু হেঁটে আসুন।
সারা দিনে..
✮ বাগান করা, গাড়ি/ঘর পরিষ্ককার করা, কাপড় ধোয়া, আপনার পছন্দমতো যেকোনো কাজ।
✮ বাড়ির বাঁধাধরা কাজ ফেলে একটু হেঁটে আসুন, এতে আপনার মনে প্রশান্তি আসবে।
✮ নিজের কাজ নিজে করুন। ব্যাগ নেওয়া বা অন্য কিছুতে অন্যের সাহায্য নেবেন না।
✮ গাড়ির জন্য দরজায় দাঁড়িয়ে থাকবেন না। বরং গাড়ি পর্যন্ত হেঁটে যান।
✮ অফিসে সারা দিন টেবিলে বসে থাকবেন না। প্রতি দুই ঘণ্টা অন্তর পাঁচ মিনিট হাঁটাহঁটি করুন।
✮ লিফট বা এসকেলেটরের বদলে সিঁড়ি ব্যবহার করুন।
✮ সম্ভব হলে অফিস শেষে হেঁটে বাড়ি ফিরুন।
✮ দৈনন্দিন জীবনধারার সঙ্গে মানানসই দৈহিক শ্রমের অভ্যাস করুন।
সন্ধ্যা…
✮ আপনার টিভি দেখার সময় নিয়ন্ত্রণে রাখুন। পরিবার-পরিজনের সঙ্গে কিছু কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখতে পারেন।
✮ সান্ধ্য ভ্রমণ আপনাকে প্রশান্তি দেবে আর সুনিদ্রা সুনিশ্চিত করবে।
ছুটির দিনে
বন্ধু কিংবা পরিবারের লোকদের সঙ্গে কিছু ব্যস্ত সময় কাটান। যেমন হাঁটা, সাইকেল চালানো, নৌকা চালানো।
আসুন আমরা স্থূলতাকে ভয় না পেয়ে সহজভাবে একে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করি। কারণ স্থূলতা বা ওজনাধিক্য থেকে পরবর্তীতে বিভিন্ন বিশেষ করে ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, হাইপারটেনশন ইত্যাদি রোগ দেখা দিতে পারে। এক্ষেত্রে ব্যক্তির ইচ্ছার সাথে সাথে বন্ধুত্বের পরিবেশও একান্ত কাম্য।