অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের কারণে শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বাড়ে। ব্যস্তময় জীবন, পরিবর্তিত খাদ্যাভ্যাস যেসব অসুখকে আরও বড় আকারে ডেকে আনছে। তার মধ্যে অন্যতম রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া। পায়ের আঙুলে ব্যথা, গোড়ালিতে ব্যথা কিংবা অস্থিসন্ধি ফুলে গিয়ে অসহ্যকর যন্ত্রণা— এই ধরনের শারীরিক অসুস্থতা লেগেই থাকে।
শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে বারবার প্রস্রাবের সমস্যা দেখা দেয়। কারণ, কিডনি চায় শরীরে থাকা অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিডকে বার করে দিতে। ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা বাড়লে প্রস্রাবের সময় অনেকেরই জ্বালা করে। ফলে কিডনিতে পাথরও হতে পারে। শরীরে এমন কোনো উপসর্গ দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এ সমস্যা বেশি দেখা যায় শীতে। এ সময় ইউরিক অ্যাসিডের ব্যথা নিয়ন্ত্রণে রাখতে এড়িয়ে চলতে হবে কিছু খাবার।
অ্যালকোহলজাতীয় পানীয়
ইউরিক অ্যাসিড থাকলে এমনিতেই মদ্যপান এড়িয়ে চলার কথা বলেন চিকিৎসক। শীতকালে এই নিষেধাজ্ঞা আরও কঠোর হয়। কারণ, শীতে প্রতিরোধ ক্ষমতা এমনিতেই অনেক কম থাকে। ইউরিক অ্যাসিড থাকলে বেশ কিছু খাওয়া-দাওয়াও এড়িয়ে চলতে হয়। তার মধ্যে অন্যতম এই ধরনের পানীয়।
ফ্যাটজাতীয় খাবার
স্যাচুরেটেড ফ্যাট রয়েছে, এমন খাবার এড়িয়ে চলুন। না হলে ব্যথা আরও দ্বিগুণ হারে বাড়তে পারে। ইউরিক অ্যাসিডে সুস্থ থাকতে মাংস, উচ্চ ফ্যাটযুক্ত দুগ্ধজাত খাবার থেকে দূরে থাকুন।
প্রোটিনজাতীয় খাবার
প্রতি দিনের খাদ্যতালিকায় প্রোটিনের পরিমাণ কমান। সামুদ্রিক মাছ, মুরগির মাংসের বদলে বেশি করে ফল, সবুজ শাকসবজি খান। তাহলে নিয়ন্ত্রণে থাকবে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা।
টকজাতীয় খাবার
অনেকেই হয়তো জানেন না, তেঁতুল, টমেটো কিংবা টকজাতীয় কোনো ফল বাড়িয়ে দিতে পারে ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা। ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ এই ফল স্বাস্থ্যকর হলেও ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যার রোগীদের জন্য উপকারী নয়। প্রতি ১০০ গ্রাম তেঁতুলে ফ্রুকটোজের পরিমাণ রয়েছে ১২ দশমিক ৩১ গ্রাম। যা ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট।