সমন্বিত খামারে সফল হয়েছেন নওগাঁর আব্দুল মান্নান। তিনি নওগাঁ জেলার রাণীনগর উপজেলার মালশন গ্রামের বাসিন্দা। চাল ব্যবসায়ী হলেও সফল উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে ওঠার স্বপ্ন ছিল তার।
এ স্বপ্ন বাস্তবায়নে তিনি সম্প্রতি ঐ গ্রামের নিজস্ব জমিতে গড়ে তোলেন মৎস্য ও ডেইরি খামার। প্রতিষ্ঠান দু’টি গড়ে তোলার পর থেকেই আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তার খামারে রয়েছে ৪৪ টি উন্নত জাতের গরু। এর মধ্যে ব্রামা, দেশী, সিন্ধী ও ফ্রিজিয়ান গরু রয়েছে। এসব গরুর মধ্যে রয়েছে বেশ কয়েকটি গাভি।
যেগুলো থেকে প্রতি দিন ৫০-৬০ লিটার দুধ বিক্রি করা হয়। এ ছাড়াও সেখানে রয়েছে ৬০ টি উন্নত জাতের গাড়ল। যেগুলো ১০-২৫ হাজার টাকায় বিক্রি হবে। আরও রয়েছে দেশী ছাগল, হাঁস মুরগিসহ অনেক গবাদি প্রাণী।
মোল্লা মৎস্য খামার নামে এ ৪ টি পুকুরে বিপুল অংকের টাকার মাছ চাষ করেন তিনি। এদিকে এ দু’টি প্রতিষ্ঠানে বেশ কিছু বেকারদের কর্মসংস্থা গড়ে উঠেছে। ৪ টি পরিবার প্রতিনিয়ত এখানে কাজকর্ম করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করেন।
আব্দুল মান্নান বলেন, আমার এ প্রজেক্ট সরকারি সহযোগিতা পেলে আরও বড় করতে পারতাম। প্রাণিসম্পদ অফিসের লোকজন মাঝে মধ্যে গরু-ছাগলের ভ্যাকসিনসহ বিভিন্ন চিকিৎসা প্রদান করে থাকেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহাদাত হুসেইন বলেন, মান্নান একজন আদর্শ খামারি। তার খামারটি একটি আদর্শ খামার। খামার করে শুরু তিনি একা সফল হননি, পাশাপাশি তৈরী করেছেন অনেকের কর্মসংস্থান। আশা করছি তিনি আরো সফলতা পাবেন। আমরা তাকে সবধরনের সহযোগীতা করবো।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. মহির উদ্দীন বলেন, মান্নানের সমন্বিত খামারটি এই এলাকায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এটি একটি আদর্শ খামার প্রাণি বিভাগের কর্মকর্তারা নিয়মিত তার খামারটি পর্যবেক্ষণ করে আসছেন। প্রাণি সম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে খামারী মান্নানকে সব সময় সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, স্থানীয় ভাবে খামারের দুধ বাজারজাত করার বিষয়ে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে দুধ ও দুগ্ধজাত সামগ্রী তৈরি করে খামারীরা যেন নিজেরাই বাজারজাত করতে পারে সেই পথটি উন্মুক্ত হবে।
তথ্যসূত্রঃ আধুনিক কৃষি খামার