রাজশাহীর বাঘায় পলিনেট হাউজে ক্যাপসিকাম চাষে সফলতার স্বপ্ন দেখছেন স্কুল শিক্ষক আমিনুল ইসলাম রুমন। এই উপজেলার মাটি ক্যাপসিকাম চাষের উপযোগী হওয়ায় ব্যাপক ফলন পাওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। কৃষি বিভাগের সহযোগীতায় রুমন ক্যাপসিকামের চাষ করেন।
জানা যায়, আমিনুল ইসলাম রুমন বাউসা পূর্বপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অর্থায়নে রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে আমিনুল ইসলাম রুমন তার নিজ ২৫ শতক জমিতে ক্যাপসিকামের চাষ শুরু করেন।
ক্যাপসিকাম চাষে তিনি জমিতে লোহার পাইপের খুঁটির উপরে ও চারিদিকে পলিথিন দিয়ে পলিনেট হাউজ তৈরী করেন। পলিনেট হাউজে ক্যাপসিকাম চাষে সফলতার স্বপ্ন দেখছেন রুমন।
তার পলিনেট হাউজটি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান ও সহকারি কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা যারীন নিলয় পরিদর্শন করেন।
আমিনুল ইসলাম বলেন, আমি বাউসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। শিক্ষকতার পাশাপাশি পলিনেট শেডে অসময়ে তরমুজ, টমেটো, স্ট্রবেরি, ফুলকপি, বাধাকপি ও গাজর চাষ করি। এতে আমি লাববান হতে পারি।
তিনি আরো বলেন, আমি ১ হাজার ৮ বর্গ ফুটে পলিনেট হাউজ তৈরী করি। কৃষি বিভাগের পরামর্শে সেখানে ক্যাপসিকাম (মিষ্টি মরিচ) চাষ করছি। ক্যাপসিকাম চাষে ইতোমধ্যে ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।
ডিসেম্বর মাসের শুরুর দিকে ২০০-২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি শুরু করতে পারবো। ক্যাপসিকাম অভিজাত হোটেল ও ফাস্টফুডের দোনগুলোতে বেশি ব্যবহৃত হয়। আশা করছি ৫ লক্ষ টাকার ক্যাপসিকাম বিক্রি করতে পারবো।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, ক্যাপসিকাম (মিষ্টি মরিচ) সারা বিশ্বে জনপ্রিয়। এতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন এ এবং সি রয়েছে। যা মানব দেহের জন্য খুবই উপকারী।
ইউরোপের পদ্ধতি অনুযায়ী লোহার পাইপের খুঁটির উপরে ও চারদিকে পলিথিনের পলিনেট হাউজে এর চাষ করা হচ্ছে। পলিনেট হাউজে বিভিন্ন সবজির আগাম চাষ করা যায়। এতে চাষিরা লাভাবনও হতে পারেন।
তথ্যসূত্রঃ আধুনিক কৃষি খামার