৩ লাখ টাকার মাল্টা বিক্রি ওমর শরীফের বাগানে

পাহাড় মাল্টা চাষের জন্য খুবই উপযোগী জায়গা। পাহাড়ের মাটিতে তার হরেক রকমের বাগানের মধ্যে মাল্টা গাছই সবচেয়ে বেশি। বলছিলাম চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের পাহাড়ে অবস্থিত কৃষি উদ্যোক্তা ওমর শরীফের কথা।

 

 

ওমর শরীফ এবছর প্রায় ৫ টন মাল্টা বাজারজাত করেছেন। বিগত ৩ বছরের তুলনায় এবছর তার বাগানে মাল্টার ব্যাপক ফলন এসেছে। তার মাল্টা চাষে সফলতা দেখে অনেকেই মাল্টা চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।

 

 

জানা যায়, পাহাড়ের মাটি ফলমূল চাষের উপযোগী হওয়ায় মোঃ ওমর শরীফ প্রায় ১০ একর পাহাড়ি জমিতে মাল্টার চাষ করছেন। তার বাগানে সাড়ে ৪ হাজার মাল্টার গাছ রয়েছে। প্রতিটি গাছেই থোকায় থোকায় ঝুঁলছে মাল্টা।

 

 

গাছ ও ফলের পরিচর্যায় ব্যস্ত আছেন কর্মচারীরা। তিনি ২০২০ সাল থেকে মাল্টা বিক্রি শুরু করেন। তার বাগানের মাল্টায় কোনো ধরনের কেমিক্যাল ও ফরমালিন না থাকায় স্থানীয়দের মাঝে বেশ চাহিদা আছে।

 

 

উদ্যোক্তা ওমর শরীফ বলেন, কয়েক বছর আগে জমি লিজ নিয়ে সমন্বিত বাগান করি। বাগানের বেশিরভাগ জায়গা জুড়ে মাল্টা ও আমের চাষ করি। চলতি বছর প্রায় ৫ টন মাল্টা বিক্রি করেছি।

 

 

গাছ থেকে আরো ২ টনের মতো মাল্টা ঝড়ে পড়েছে। আত্মীয়-স্বজনকেও মাল্টা দিয়েছি। এতোদিন শুধু খরচ করেছি। এখন মাল্টা বাজারজাত করে আয় করার পালা। ৬০ টাকা করে প্রায় ৩ লাখ টাকার মাল্টা বিক্রি করতে পেরেছি।

 

 

তিনি আরো বলেন, আমার বাগানে তিন জাতের মাল্টা রয়েছে। বেরিকেডেট, পাকিস্তানি ও বারি-১ জাতের মাল্টা। বাগানে মাল্টা ছাড়াও অ্যাভাকাডো, পুলসান, রাম্বুটান, আপেল, তেঁতুল, থাই সফেদা, চেনাক ফ্রুট, থাই বেরিকেডেট মাল্টা, বারোমাসি মাল্টা, চাইনিজ কমলা, দার্জিলিং কমলা, চায়না-৩ লিচু, লটকন, ভিয়েতনাম নারিকেল আরো অনেক কিছুর গাছ রয়েছে। আমি এগুলোর চারাও বিক্রি করি।

 

 

মিরসরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রঘুনাথ নাহা বলেন, উদ্যোক্তা ওমর শরীফের বাগানটি পাহাড়ের অনেকটা ভেতরে। আমরা তা বাগানটি পরিদর্শন করতে যাবো। পাহাড়ের মাটি উর্বর। মধ্যম থেকে দোঁআশ।

 

 

এখানকার আবহাওয়া শুষ্ক ও উষ্ণ হওয়ায় সাইট্রাস (লেবু) জাতীয় ফল চাষের প্রচুর সম্ভাবনা আছে। এ মাল্টার রং সবুজ হলেও স্বাদ-গন্ধে অতুলনীয়। এর পুষ্টিগুণও অনেক বেশি। এসব মাল্টার বেশ চাহিদাও আছে। আমরা তাকে প্রয়োজনীয় সহযোগীতা করবো।

 

তথ্যসূত্রঃ আধুনিক কৃষি খামার