আমরা মাছ খেয়ে মাছের আঁশ বর্জ্য ভেবে ফেলে দেই। আর সেই ফেলে দেওয়ায় আঁশ বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন অনেকে। দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে বর্জ্য হিসেবে ফেলে দেওয়া মাছের আঁশ বিক্রি করে অন্তত ৫০ জন লাভবান হয়েছেন। এই আঁশ জাপান, ইন্দোনেশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া ও থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানির জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে।
জানা যায়, ক্রেতারা বাজার থেকেই আঁশ ছাড়িয়ে মাছ কেটে নিয়ে যান। আগে এই মাছের আঁশ ব্যবসায়ীরা ফেলে দিতো। তবে এখন ফেলে না দিয়ে সেই আঁশ বিক্রি করে বাড়তি আয় করতে পারছেন।
খবর নিয়ে জানা যায়, ফেলে দেওয়া মাছের আঁশ বিক্রির সাথে প্রায় ৫০ জন জড়িত আছেন। তারা উপজেলার বিভিন্ন বাজারে থেকে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ২ মণ ভেজা মাছের আঁশ সংগ্রহ করেন।
তারপর বাড়ি নিয়ে তা রোদে শুকিয়ে বস্তাজাত করেন। পরবর্তীতে রাজশাহী, সৈয়দপুর ও নওগাঁ থেকে ক্রেতারা গিয়ে সেগুলো নিয়ে যান। তারপর তাদের থেকে ঢাকার পাইকাররা কিনে নেন।
আর সেগুলোকে চীন, জাপান, ইন্দোনেশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া ও থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করেন। ওইসব দেশে উন্নতমানের প্রসাধনী, ফুড সাপ্লিমেন্ট ও ক্যাপসুলের ক্যাপসহ জরুরি সামগ্রী তৈরির কাজে এই আঁশ ব্যবহার করেন।
ফুলবাড়ী পৌর বাজারের মাছ ব্যবসায়ী সমবারু মিয়া, রেজাউল ইসলাম ও মোজাফ্ফর হোসেন বলেন, আগে আমরা মাছের আঁশ সংগ্রহ করতাম না।
বর্তমানে মাছের আঁশ সংগ্রহ করার পর ৪-৫ মণ জমা হলে পাইকাররা বাড়িতে এসে নিয়ে যান। প্রকারভেদে প্রতিকেজি মাছের আঁশ ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি করছি। তবে করোনার আগে ১০০-১২০ টাকা কেজি বিক্রি করতে পারতাম।
পৌরবাজারের পাইকার মাছ ব্যবসায়ী আব্দুল জব্বার আলী বলেন, আগে আমরা মাছের আঁশ ফেলে দিতাম। এখন স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ীদের মাছের আঁশগুলো ফেলে না দিয়ে যত্ন সহকারে জমিয়ে রাখার পরামর্শ দিচ্ছ।
আগে অনেকে এই মাছের আঁশ বিক্রির সাথে যুক্ত না থাকলেও বর্তমানে প্রায় ৫০ জনের মতো এই মাছের আঁশ বিক্রির সাথে যুক্ত হচ্ছেন। সরাসরি বিদেশে রপ্তানি করতে পারলে আরো লাভবান হওয়া সম্ভব।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রাশেদা আক্তার বলেন, আমরা মাছের আঁম সংগ্রহের বিষয়ে কিছু জানিনা। বিসয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
তথ্যসূত্রঃ আধুনিক কৃষি খামার