কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার তালজাঙ্গা গ্রামের যুবক শফিউল আলম সজীব মুরগী পালন ও মাছ চাষ করে সফল হয়েছেন। চাকরির পেছনে না ছুটে তিনি আজ সফল খামারি। তার সফলতা দেখে অনেক শিক্ষার্থী পড়াশোনার পাশাপাশি সংসারের খরচও চালাতে পারছে।
জানা যায়, ২০১১ সালে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে তিন মাসের প্রশিক্ষণ নিয়ে ১০০টি ব্রয়লার মুরগি নিয়ে মুরগির খামার শুরু করেন।
পাশাপাশি একটি মাছের হ্যাচারি ও গরুর খামারও রয়েছে তার। সজিবের খামারে প্রায় ২০ জনের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। মুরগীর পালন ও মাছ চাষে এলাকায় ব্যাপক সুনাম রয়েছে তার। মুরগি পালন আর মাছ চাষ করে মাসে আয় করেন ৬ থেকে ৭ লাখ টাকা।
শফিউল আলম সজীব বলেন, আমি ২০১১ সালে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে তিন মাসের প্রশিক্ষণ নিই। তারপর ১০০টি ব্রয়লার মুরগি নিয়ে মুরগির খামার শুরু করি।
বর্তমানে আমার খামারে ১০ হাজার লেয়ার মুরগি রয়েছে। মুরগীর খামারের পাশাপাশি আমার ১২টি পুকুর রয়েছে। পুকুরে শিং, পাবদা, গুলসা ও পাঙ্গাশ মাছ চাষ করি। আর একটি গরুর খামারও রয়েছে। ২০ জন শ্রমিক রয়েছে যারা আমার খামারগুলো দেখাশোনার করেন।
তিনি আরো বলেন, আমার ইচ্ছা আছে নিজের খামারকে বড় পরিসরে রূপ দিয়ে ৫০ হাজার লেয়ার মুরগি নিয়ে ৫০ জনের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার।
তাড়াইল উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান খান বলেন, শুধু চাকরির পেছনে না ছুটে নিজে উদ্যোগী হওয়ার জন্য আমরা যুবকদে আহ্বন করি।
বেকার সমস্যা দূর করতে দেশের শিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত বেকার যুবকদের নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর।
সজীবের সাফল্য দেখে এলাকার অনেক বেকার যুবক খামারি হিসেবে কাজ করছেন। আমরা সকলকে উদ্যোগী হতে সব ধরনের সহযোগীতা করবো।
তথ্যসূত্রঃ আধুনিক কৃষি খামার