গরুর খামার করে সফল হয়েছেন আজিজ, বাৎসরিক আয় কোটি টাকা!

নীলফামারী জেলার মোহাম্মদ শাহিদ আজিজ গরুর খামার করে সফল হয়েছেন। দীর্ঘদিন যাবত তিলে তিলে গড়ে তুলছেন এই খামার। বর্তমানে তার খামারে ৪০টি গাভি, ১৫টি বকনা, ৫টি ষাঁড় ও ১৫টি বাছুর রয়েছে।

 

 

যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় কোটি টাকা। তাকে গরুর খামার করে সফল হতে দেখে অনেকেই গরু পালনে আগ্রহী হচ্ছেন। বিশেষ করে যুবকরা গরুর খামারে আগ্রহ প্রকাশ করছেন।

 

 

জানা যায়, আজিজ ২০০২ সালে ১ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে একটি শংকর জাতের গরু দিয়ে খামার শুরু করেন। ধীরে ধীরে একটি দুটি করে তার খামারে গরুর সংখ্যা বাড়তে থাকে। বর্তমানে তার খামারে ১৫টি দুধের গাভি রয়েছে।

 

 

গাভিগুলো থেকে প্রতিদিন ১৫০-২০০ লিটার পর্যন্ত দুধ পেয়ে থাকেন। খামারের পাশাপাশি তার একটি মিষ্টির ও ছোট একটি ছাগলের খামার রয়েছে। যেখানে ১৭টি দেশি ও উন্নত জাতের ছাগল রয়েছে। দোকানে তার খামারের দুধ দিয়ে মিষ্টি তৈরী করে বিক্রি করেন। পাশাপাশি বিভিন্ন কোম্পানীতেও দুধ সরবরাহ করে থাকেন।

 

 

বর্তমানে তিনি তিনটি বায়োগ্যাস প্লান্ট স্থাপন করেছেন। যেখানে গরুর গোবর থেকেও আয় করছেন তিনি। একটি বায়োগ্যাস প্লান্ট নিজে ব্যবহার করছেন আর দুটি ভাড়া দিয়েছেন।

 

 

মোহাম্মদ শাহিদ আজিজ বলেন, আমার সফলতার পেছনে স্থানীয় প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের সহযোগিতা রয়েছে। বর্তমানে খরচ বাদ দিয়ে ৫০-৬০ হাজার টাকা আয় করতে পারছি। গরুর খাদ্যের দাম ও দুধের বাজার ওঠা-নামার সাথে আয়ও ওঠা-নামা করে থাকে।

 

 

তিনি আরো বলেন, বাড়তি আয় হিসেবে বায়োগ্যাস প্লান্ট স্থাপন করেছি। যেখান থেকে মাসে অতিরিক্ত ৬ হাজার টাকা আয় হচ্ছে। আমার খামারে ৪ জন শ্রমিক কাজ করছে। তাদের ৬-১২ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন দিতে হয়। এখানে কাজ করতে পেরে তারাও খুশি।

 

 

বেকারদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বেকার না থেকে নিজ উদ্যোগে খামার করে স্বাবলম্বী হওয়া যায়। খামার করে দেশে বেকারত্ব দূর করা সম্ভব।

 

তথ্যসূত্রঃ আধুনিক কৃষি খামার