মৌসুম ছাড়া মালচিং পদ্ধতিতে তরমুজ চাষ করে সফল হয়েছেন মো. আকতার

ভোলায় মালচিং পদ্ধতি ব্যবহার করে মৌসুম ছাড়া তরমুজ চাষ করে সফল হয়েছেন মো. আকতার হোসেন মহাজন নামে এক কৃষক।

 

 

নতুন এ পদ্ধতিতে ক্ষেতে রোগ ও পোকামাকড়ের আক্রমণ তেমন না থাকায় ফলন পেয়েছেন ব্যাপক। বাজারে ব্যাপক চাহিদা থাকায় দামও রয়েছে চড়া। এদিকে তার সফলতা দেখে অন্যরা এ পদ্ধিতে তরমুজ চাষ করতে আগ্রহী হচ্ছেন।

 

 

সরেজমিনে জানা গেছে, জেলায় প্রথমবারের মতো মালচিং পদ্ধতি ব্যবহার করে ব্ল্যাক কিং, ইয়েলো বার্ড ও তৃপ্তি জাতের তরমুজ চাষ করেছেন ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার আমেনাবাদ ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কৃষক মো. আকতার হোসেন মহাজন। নতুন এ পদ্ধতি ব্যবহার করে প্রথমবারেই সফলতা পেয়েছেন তিনি।

 

 

মো. আকতার হোসেন মহাজন জানান, তিনি গত ২ বছর ধরে মালচিং পদ্ধতি ব্যবহার করে বিভিন্ন সবজির চাষ করতেন। এ বছর ৪০ শতাংশ জমিতে মালচিং পদ্ধতি ব্যবহার করে তরমুজ চাষ করেছেন।

 

 

এতে প্রায় ২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ক্ষেতে রোগ ও পোকামাকড়ের আক্রমণ না থাকায় সার-কীটনাশক কম ব্যবহার করেছেন।

 

 

তিনি জানান, এ পদ্ধতিতে ক্ষেতে আগাছা একেবারেই না থাকায় খুব কম পরিশ্রমে ব্যাপক ফসল পেয়েছেন। এ জাতের তরমুজের বাজারে অনেক চাহিদা থাকায় দামও চড়া। ক্ষেতে যে ফলন হয়েছে, তাকে কম করে হলেও ৮০-৯০ হাজার টাকা বিক্রি করতে পারবেন।

 

 

চরফ্যাশন উপজেলার আমেনাবাদ ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কৃষক মো. রিয়াজ হোসেন ও ওসমানগঞ্জ ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কৃষক মো. জসিম জানান, তারা আকতার হোসেন মহাজনের সফলতার কথা শুনে দেখতে এসেছেন।

 

 

আকতার হোসেন মহাজনের কাছ থেকে এ জাতের তরমুজ চাষের সম্পর্কে জেনেছেন এবং পরামর্শ নিয়েছেন। তারা এ জাতের তরমুজ মালচিং পদ্ধতিতে চাষ করবেন।

 

 

তরমুজ ক্ষেত দেখতে আসা মো. রিয়াদ জানান, তিনি লোকমুখে শুনেছেন এখানে বিভিন্ন রঙের তরমুজ রয়েছে। ক্ষেতে বিভিন্ন রঙের তরমুজ দেখে মুগ্ধ হয়েছেন। এ তরমুজ খেয়ে অনেক তৃপ্তি পেয়েছেন।

 

 

ভোলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. হাসান ওয়ারিসুল কবীর জানান, লালমোহন, চরফ্যাশন ও মনপুরা উপজেলার কয়েকজন কৃষক অফ-সিজনের তরমুজ চাষ করেছেন। আকতার হোসেন মহাজনের মতো সবাই সফল হয়েছেন। তাদের দেখে অনেকেই আগ্রহী হচ্ছেন। আগামীতে জেলায় অফ-সিজনের তরমুজ চাষের ব্যাপক প্রসার ঘটবে।

 

 

এ বছর ভোলার সাত উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বিভিন্ন এনজিওর সহযোগিতা ও নিজ উদ্যোগে প্রায় শতাধিক কৃষক ৪০ হেক্টর জমিতে অফ-সিজনের তরমুজ চাষ করেছেন। এ চাষ বাড়লে জেলার চাহিদা মিটিয়ে রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা সম্ভব হবে।

 

তথ্যসূত্রঃ জাগো নিউজ ২৪