লাউ চাষ করে সুদিন ফিরেছে চাষিদের, প্রতি পিছ ৪০ টাকা!

কুড়িগ্রামের ১৬টি নদ-নদী বেষ্টিত চরাঞ্চলে লাউ চাষ করে সুদিন ফিরেছে চাষিদের। গত কয়েকদিন আগে বৈরী আবহাওয়ার কারণে লাউ চাষিদের মধ্যে ফলন নিয়ে যে শঙ্কা জেগেছিল, এখন তা দূর হয়েছে। এ ছাড়াও লাউয়ের বাজার দর ও আবহাওয়া ভালো থাকায় এ বছর লাভবান হওয়ার স্বপ্ন বুনছেন কৃষকরা।

 

 

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর জেলায় প্রায় ৪০০০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন প্রকার সবজি চাষ হয়েছে। এর মধ্যে শুধু লাউয়ের চাষাবাদ হয়েছে প্রায় ২৫০ হেক্টর জমিতে।

 

 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, লাউয়ের বীজ জমিতে রোপণ করার সময় থেকে ফলন আসা পর্যন্ত সময় লাগে ৩-৪ মাস। এক বিঘা জমিতে লাউ চাষে খরচ হয় প্রায় ২০-২৫ হাজার টাকা।

 

 

ফলন ভালো হলে এক বিঘা জমির লাউ বিক্রি করার সম্ভাবনা থাকে ৬০-৭০ হাজার টাকা। বর্তমান বাজারে ১০০ লাউ ৩ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সে হিসেবে বাজার দর ঠিক থাকলে এ মৌসুমে বেশ লাভবান হবেন বলে জানিয়েছেন চাষিরা।

 

 

রাজারহাট উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নের পাঙ্গা মিরের বাড়ি এলাকার লাউ চাষি মোসলেম উদ্দিন বলেন, ‘আমি ৩০ শতক জমিতে লাউ চাষ করেছি।

 

 

ফলন খুব ভালো হয়েছে। গত দুই সপ্তাহ ধরে ১০০ লাউ ৪ হাজার টাকা দরে বিক্রি করেছি। আশা করছি লাউ থেকে এ বছর ভালো আয় করতে পারব।

 

 

কৃষক সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘সার ও কীটনাশকের দাম হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় এ বছর সবজি চাষ করে প্রায় বিপদে পড়েছিলাম। তবে লাউয়ের বাজার ভালো থাকায় সেই শঙ্কা কেটেছে। আশা করছি লাভবান হব।’

 

 

হলোখানা ইউনিয়নের পলাশবাড়ী গ্রামের লাউ চাষি সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘আমার ৩ বিঘা জমিতে লাউ চাষ করেছি। ফলন ভালো হয়েছে। দুই সপ্তাহ ধরে লাউ বিক্রি শুরু করেছি। আশা করছি আবহাওয়া ভালো থাকলে এ জমি থেকে টানা ৩ মাস লাউ বিক্রি করতে পারব।

 

 

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) বিপ্লব কুমার মোহন্ত বলেন, ‘জেলায় প্রায় ২৫০ হেক্টর জমিতে লাউ চাষ হচ্ছে। এ ছাড়াও বসত ভিটার আশপাশ, পতিত ও পরিত্যক্ত জমিতে বিচ্ছিন্নভাবে লাউ চাষ হচ্ছে। এ বছর লাউয়ের দাম ভালো পাচ্ছেন চাষিরা। আশা করছি কৃষকরা লাভবান হবেন।

 

তথ্যসূত্রঃ জাগো নিউজ ২৪