গোপালগঞ্জে ভাসমান বেডে বাণিজ্যিকভাবে তরমুজ চাষ করে সফলতা পেয়েছেন চাষিরা। জেলার প্রতিটার বেডের আশানুরূপ ফলনের পাশাপাশি বাজারে ভালো দাম পেয়ে খুশি চাষিরা।
জানা যায়, কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত বারি ‘তরমুজ-১’ ও ‘সুইট ব্লাক’ জাতের তরমুজের বীজ ভাসমান বেডে আবাদ করে চাষিরা বাণিজ্যিকভাবে তরমুজ উৎপাদন করেছে। আর এতে এ বছরই প্রথম সফলতা এসেছে।
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া চাষি শক্তি কীর্ত্তনীয়া বলেন, এতদিন আমরা ভাসমান বেডে, বিভিন্ন প্রকার শাক, ঢেঁড়শ, লাউ, কুমড়া, ফুলকপি, বাঁধাকপি, শশা ও টমেটোসহ বিভিন্ন সবজি উৎপাদন করেছি।
কৃষি গবেষণা ইনস্টিউিটের সহযোগিতায় ও পরামর্শে এ বছর প্রথম বাণিজ্যিকভাবে তরমুজ চাষ করেছি। তরমুজ চাষে কোন সেচ, কীটনাশক ও সার লাগেনি।
গোপালগঞ্জ বড় বাজারের ফল বিক্রেতা রতন সাহা জানান, এ বছর বাজারে অসময়ের তরমুজ প্রচুর আমদানি হয়েছে। তবে এ তরমুজ খুবই রসালো ও মিষ্টি।
তাই ক্রেতাদের কাছে চাহিদা রয়েছে বেশ ভাল। প্রতি কেজি তরমুজ আমরা ৬০ টাকা দরে ক্রয় করে ক্রেতাদের কাছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা দরে বিক্রি করছি।
তরমুজ ক্রেতা হাসান বলেন, আগে অসময়ে যে তরমুজ পাওয়া যেত, সেগুলো বিদেশ থেকে আসতো। দেড় থেকে ২ কেজি ওজনের প্রতিটি তরমুজ ৫০০ টাকায় কিনতে হতো। এখন এই তরমুজ দেশে হচ্ছে। ২০০ থেকে ২৫০ টাকার মধ্যে এই তরমুজ কিনতে পারছি।
কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের গোপালগঞ্জ সরেজমিন গবেষণা বিভাগের উর্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মহসীন হাওলাদার বলেন, ভাসমান বেডে সবজি, মসলা চাষ গবেষণা, সম্প্রসারণ ও জনপ্রিয় করণ প্রকল্পের আওতায় এ বছর প্রথম গোপালগঞ্জে ২০০ কৃষক অন্তত ১ হাজার ভাসমান বেডে তরমুজের বাণিজ্যিক চাষ করেন। প্রতিটি বেডেই তরমুজের আশানুরূপ ফলন হয়েছে।
তথ্যসূত্রঃ আধুনিক কৃষি খামার