টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলায় গড়ে উঠেছে কুকুরের বাণিজ্যিক খামার। শখের বসে শুরু করলেও বর্তমানে বাণিজ্যিকভাবে লালন-পালন করা হচ্ছে কুকুর।
প্রতিটি কুকুর ২০ হাজার থেকে আড়াই লাখ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয় বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা। জানা যায়, প্রথমদিকে দিলীপ কুমার সাহা শকখের বসে নিজের ২০ শতাংশ জমিতে কুকুর লালনপালন শুরু করলেও পরবর্তীতে তার ভাই গৌতম সাহা ও তার ছেলেরা মিলে খামারটির দেখভাল করেন।
বর্তমানে তাদের খামারে কাউজিয়া ম্যাদার্ব, আলাবার সেন্ট্রাল, রাশিয়ান সামায়েল, তিব্বতি স্যাস্টিট, পেটবোল ও জার্মান শেফার্ডসহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৭৫টির বেশি কুকুর আছে।
গড়ে প্রতিদিন প্রায় ১৮ কেজি মুরগি, দুটি মিষ্টিকুমড়া ও ভাত রান্না করে কুকুরকে দিনে দুবার খাওয়ানো হয়। এতে প্রতিদিন প্রায় দেড় হাজার টাকা খরচ হয়। শ্রমিকের মজুরিসহ ব্যয় হয় চার হাজার টাকা।
গৌতম সাহা বলেন, বর্তমানে খামারে টিভিডিয়ান মার্চিভ, ডগার জেন্টিনা, টুবারমেন, রোড হুইলারসহ বিভিন্ন প্রজাতির গার্ডি কুকুর আছে। এসব কুকুর ঢাকা, টাঙ্গাইল, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকায় কুকুর বিক্রি হচ্ছে।
ফ্যামিলি ডগের মধ্যে আছে ল্যাবরাডোর, গোল্ডেন ইলিবার, সেন্ট বার্না। টয় বিটের মধ্যে ভেসন ফ্রাই, পুডল, ওয়াইট এরিয়া প্রজাতির কুকুর আছে। তিন প্রজাতির মধ্যে গার্ডি ও ফ্যামিলি ডগের গ্রাহক বেশি বলেও তিনি জানান।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয়ের ভেটেরিনারি সার্জন এ কে এম আতিকুর রহমান বলেন, দেশে পোষা কুকুরের চাহিদা আছে। প্রজননের মাধ্যমে কুকুর উৎপাদন করে পোষা প্রাণী হিসেবে বিক্রি করতে পারলে পরিবারটি বেশ লাভবান হবে।
তথ্যসূত্রঃ আধুনিক কৃষি খামার