সিলেটে গোলাপগঞ্জ উপজেলায় বাণিজ্যিকভাবে কফি চাষ করা হচ্ছে। বাড়ির আঙিনায় ও টিলায় শোভা পাচ্ছে উচ্চমূল্যের কফি ও কাজু বাদামের গাছ।
প্রথমে অল্প পরিসরে গাছ লাগানো হলেও এখন তা বাণিজ্যিক রূপ ধারন করছে। উৎপাদিত কফি প্রক্রিয়াজাত করার জন্য কারখানা স্থাপন করা হচ্ছে।
জানা যায়, অনাবাদি টিলাগুলোকে চাষের আওতায় এনে বিভিন্ন চাষাবাদের মাধ্যমে টিলাগুলোকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব।
বর্তমানে গোলাপগঞ্জের আমুড়া ইনিয়নের গ্রামের টিলা গুলোতে বাণিজ্যিকভাবে কফি, কাজু বাদাম, আনারস ও বিভিন্ন ফলের চাষ হচ্ছে।
গোলাপগঞ্জ উপজেলার সোহেল আহমেদ চৌধুরীর বাড়ির আঙিনায় কফি গাছ রয়েছে। তার গাছের ডালে ডালে শোভা পাচ্ছে কফি।
একই উপজেলার আমুড়া ইউনিয়নের কদমরসুল গ্রামের যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মাসুম আহমদ, গ্রামের ৬০ একর অনাবাদি টিলা চাষের আওতায় আনেন। কৃষি বিভাগের পরামর্শে সেখানে আনারস, প্রায় ২ হাজার কফি গাছ ও বিভিন্ন ফলের গাছ লাগান।
সিলেটের কফি বাগানের ব্যবস্থাপক আবু সুফিয়ান বলেন, টিলাগুলোকে অক্ষত রাখতে আমরা প্রত্যেকটি টিলাতে কফি, আনারস, কাজুবাদাম, কমলা ও বিভিন্ন ফলের উৎপাদনে চাষিদের সহযোগীতা করছি। এছাড়াও প্রায় ১০ একরে জমিতে একটি লেকও গড়ে তোলা হয়েছে।
সিলেটের উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গোলাপগঞ্জ মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান বলেন, টিলাগুলোকে রক্ষার ক্ষেত্রে সেখানের জমি কৃষি কাজে ব্যবহার করা বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে।
সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমি মান্নান বলেন, গোলাপগঞ্জ উপজেলায় প্রায় ৮০০ টিলা ও পাহাড় রয়েছে। ইতোমধ্যে অনেকগুলো টিলাতে কফি, আনারস ও কাজুবাদমের চাষ হচ্ছে।
এতে টিলাগুলোকে সংরক্ষন করা সম্ভব বলে মনে করি। এছাড়াও পাকা কফি প্রক্রিয়াজাত করার জন্য ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে কারখানা গড়ে তোলার কাজ চলছে।
তথ্যসূত্রঃ আধুনিক কৃষি খামার