দেশীয় ভেষজগুণ সম্পন্ন ফল পেঁপের ভালো ফলন ও লাভবান হওয়ায় বাণিজ্যিকভাবে দিনাজপুরের বিভিন্ন স্থানে এর চাষ শুরু হয়েছে। আধুনিক পদ্ধতিতে পেঁপে চাষ করলে দ্বিগুণ ফলন পাওয়া যায়।
উন্নত কাশিমপুরী জাতের পেঁপে চাষ করে সবার দৃষ্টি কেড়েছেন দিনাজপুরের বীরগঞ্জের আবদুল্লাহ হেল কাফী। তার পেঁপে বাগান দেখতে ছুটে আসছেন অনেকে। পেঁপে চাষ করার আগ্রহের কথা জানাচ্ছেন কেউ কেউ।
পেঁপে স্বল্পমেয়াদি ফল। এর চাষের জন্য বেশি জায়গার প্রয়োজন হয় না। বাড়ির আঙিনায় দু-চারটি গাছ লাগালে তা থেকে সারা বছর সবজি ও ফল পাওয়া যায়। পেঁপে গাছ জলাবদ্ধতা সহ্য করতে পারে না। তাই পেঁপে চাষের জন্য নির্বাচিত জমি হতে হবে জলাবদ্ধতামুক্ত এবং সেচ সুবিধাযুক্ত।
জমি বারবার চাষ ও মই দিয়ে উত্তমরূপে তৈরি করতে হবে। দ্রুত পানি নিষ্কাশনের জন্য বেড পদ্ধতি অবলম্বন করা ভালো। পেঁপে চাষে সফলতা পেতে বীজ বপন ও চারা রোপণের উপযুক্ত সময় হচ্ছে, আশ্বিন এবং পৌষ মাস।
সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ হেল কাফী জানান, আমার বাগানে কাশিমপুরী পেঁপের চারা বিএডিসি থেকে এনেছি। পেঁপে গাছের খাদ্যের অভাব মেটাতে জৈব কিংবা কেঁচো সার ব্যবহার করলে ভালো ফলন পাওয়া যায়।
তাছাড়া পেঁপের পরাগায়নসহ ভালো ফলন পাওয়ার জন্য ১০:২ অনুপাতে পুরুষ গাছ রাখতে হবে। জমি সব সময় রাখতে হবে আগাছামুক্ত। মাটিতে রসের অভাব হলে পানি সেচের ব্যবস্থা করতে হবে।
বীরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু রেজা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, কৃষি বিভাগ বাউ-৩, বাউ-৪, কাশিমপুরী জাতের পেঁপে চাষে উৎসাহিত করছে।
পেঁপে গাছ রোগমুক্ত রাখতে কৃষকদের দেওয়া হয় বিভিন্ন পরামর্শ। জমিতে একবার স্থানীয় উন্নত কাশিমপুরি জাতের পেঁপের চারা লাগালে পাঁচ বছর পর্যন্ত ফলন পাওয়া যায়।
তথ্যসূত্রঃ দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন