নেত্রকোনায় কেন্দুয়াতে মাল্টা চাষে তিন বন্ধুর বাজিমাত!

নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার কান্দিউড়া ইউনিয়নের তেতুলিয়া গ্রামের তিন বন্ধু রিজন আহমেদ, মোহাইমিনুল ইসলাম তমাল ও তামিম ইকবাল রাসেল পড়াশোনা শেষ করে মাল্টা বাগান করে সাড়া ফেলেছেন। আশেপাশের গ্রাম থেকে মানুষ আসছে তাদের মাল্টা বাগান দেখতে।

 

 

জানা যায়, ২০২০ সালে পড়াশোনা শেষ করে বেকার বসে না থেকে তিন বন্ধু মাল্টা চাষের পরিকল্পনা করেন। বাগান করার আগে বিভিন্ন এলাকার মাল্টা বাগান পরিদর্শন করে তথ্য ও অভিজ্ঞতা নেন তারা।

 

 

তারপর ৬৫ শতাংশ জমিতে বারি-১, বারি-২, ডোরাকাটা এবং চায়না ভিয়েতনামি সহ চার প্রজাতের প্রায় ৩৩৫টি মাল্টা গাছ রোপন করে বাগান শুরু করেন। মাল্টা চাষে নিজেদের স্ববলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন তিন বন্ধু।

 

 

মোহাইমিনুল ইসলাম তমাল বলেন, ২০২০ সালে স্নাতক পাস করি। তারপর দেশে করোনা ছড়ায়। করোনাকালে বেকার বসে না থেকে তিন বন্ধু মিলে কিছু করার চিন্তা করি।

 

 

বিভিন্ন বাগান ও ইউটিউব দেখে মাল্টা চাষে উদ্বুদ্ধ হই। তিন বন্ধু মিলে আমার মামার ৬৫ শতাংশ জমিতে বারি-১, বারি-২, ডোরাকাটা এবং চায়না ভিয়েতনামি সহ ৪ প্রজাতের ৩৩৫টি মাল্টা চারা রোপন করে বাগান শুরু করি।

 

 

বাগানটি করতে স্থানীয় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোফাজ্জল হোসেন ভূঞা বাচ্চু এবং উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা একেএম শাহজাহান কবির সহযোগীতা করেন।

 

 

তিনি আরো বলেন, এবছর বন্যার কারণে ৪০ টি গাছ মারা যায়। বর্তমানে ২৯৫ টি গাছের মধ্যে ২০০ টি গাছেই ফল এসেছে। আশা করছি আগামী সেপ্টেম্বর মাসেই ফল পরিপক্ক হবে আর বিক্রি করতে পারবো।

 

 

রিজন আহমেদ ও তামিম ইকবাল রাসেল বলেন, আমরা বাগানে মাল্টার পাশাপাশি থাই-৭ আম, গোপালভোগ আম ও থাই-৭ পেয়ারাসহ আরো বিভিন্ন প্রজাতির ১০০ লেবু গাছও লাগানো হয়েছে। কৃষি কর্মকর্তারা নিয়োমিত আমাদের বাগান পরিদর্শন করেন।

 

 

তারা আরো বলেন, আমরা বাগান আরো বড় করার পরিকল্পনা করছি। আশা করছি আমাদের স্বপ্ন পূরন হবে।কেন্দুয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা একেএম শাহজাহান কবির বলেন, তিন বন্ধুর মাল্টা বাগান করে এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। তাদের প্রায় সব গুলো গাছেই মাল্টা এসেছে। দেশে মাল্টার খুব চাহিদা রয়েছে।

 

 

মাল্টা ভার্মি কম্পোস্ট দিয়ে চাষ করলে মাল্টার ফলন আরো বৃদ্ধি পাবে। মাল্টা সারাবছর বিক্রি করা যায়। দামও ভালো পাওয়া যায়।

 

 

আশা করছি তাদের বাগানের মাল্টা আগামী সেপ্টেম্বরে বিক্রি করতে পারবে। তারা ভালো লাভবান হবেন। তাদের এমন উদ্যোগ দেখে অনেক বেকার যুবকরা মাল্টা চাষে আগ্রহী হচ্ছে।

 

তথ্যসূত্রঃ আধুনিক কৃষি খামার