খুলনার রূপসা উপজেলার কৃষক মলয় কুমার ঘোষ গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ করে সফল হয়েছেন। এ উপজেলার মাটি টমেটো চাষের উপযোগী হওয়ায় দিন দিন বাড়ছে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ।
বাণিজ্যিকভাবে চাষ করে স্থানীয় অনেক কৃষক সফল হয়েছেন। এবছর টমেটোর বাম্পার ফলন হয়েছে। বাম্পার ফলনের পাশাপাশি অধিক মুনাফা হওয়ায় খুশি চাষিরা। দিন দিন গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার তিলক, ডোবা, দুর্জ্জনীমহল এবং গোপালগঞ্জ, খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা ও পিরোজপুর কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় উপজেলা কৃষি অফিসের মাধ্যমে কৃষকরা প্রশিক্ষণ নিয়ে বারি হাইব্রিড টমেটো-১১ জাতের টমেটো চাষ করছেন।
উপজেলার টিএসবি ইউনিয়নের তিলক গ্রামের কৃষক মলয় কুমার ঘোষ গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ করে বাম্পার ফলন পেয়েছেন। গাছে ফুল ও ফলের সমাহার দেখে তিনি খুব খুশি। আগামীতে আরো বেশি জমিতে টমেটো চাষ করবেন বলে জানান তিনি।
কৃষক মলয় কুমার ঘোষ বলেন, উপজেলা কৃষি অফিস থেকে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষের প্রশিক্ষণ নিয়ে এবং কৃষি অফিসের সার্বিক সহযোগীতা ও পরামর্শে জমি প্রস্তুত করে টমেটো চাষ করা শুরু করি।
তাদের পরামর্শ অনুযায়ী সময় মতো গাছের যত্ন নিয়েছি বলেই বাম্পার ফলন হয়েছে। ইতোমধ্যে ৩০ হাজার টাকার টমেটো বিক্রি করেছি। জমিতে যে পরিমান আছে তাতে আরো দেড় লাখ টাকার টমেটো বিক্রি করতে পারবো।
তিনি আরো বলেন, গ্রীষ্মকালীন এই টমেটো চাষের সকল খরচ বাদ দিয়ে এই মৌসুমে প্রায় দেড় লাখ টাকার মতো লাভ হবে। আগামীতে আরো বেশি জমিতে এই টমেটোর চাষ করবো।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. সোহেল রানা বলেন, গ্রীষ্মকালীন এই টমেটো অত্যন্ত পুষ্টিগুনে ভরপুর। সাদা পলিথিনের ছাউনি দিয়ে এই টমেটো চাষ করা হয়।
যেন রোদে নষ্ট না হয়ে যায়। গ্রীষ্মকালীন এ টমেটো চাষ করে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। আশা করা যাচ্চে এ টমেটোর আবাদ আরো বৃদ্ধি পাবে।
রূপসা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ফরিদুজ্জামান বলেন, এজেলায় এবছরই প্রথম বাণিজ্যিকভাবে গ্রীষ্মকালীন টামেটোর চাষ হয়েছে। বাজারে এ টমেটোর চাহিদা অনেক। চাষ খুব সহজ ও লাভজনক।
এ টেমেটো সারা বছর দেশের টমেটোর চাহিদা পূরনে সক্ষম। উপজেলা কৃষি বিভাগ চাষিদের টমেটো চাষের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সব ধরনের সহযোগীতা দিচ্ছে।
তথ্যসূত্রঃ আধুনিক কৃষি খামার