বাংলাদেশে অপার সম্ভাবনা রোজেলা ফল চাষে

রোজেলা, চুকাই, চুকুরি, মেস্তা, হড়গড়া কিংবা হইলফা – এক ফলের এতগুলো বাহারি নাম। তবে ইদানীং বাংলাদেশে রোজেলা হিসেবে বেশ পরিচিতি পাচ্ছে। বিশ্বের কিছু এলাকায় হিবিস্কাস টি হিসেবেও এর পরিচিতি রয়েছে।

 

 

শহরে কাঁচাবাজারে খয়েরি ধাঁচের লাল, দেখলে প্রথমে ফুল বলে মনে হয় কিন্তু আসলে এটি একটি ফল। ফলটি দিয়ে ডাল রান্না করা যায়।

 

 

স্বাদে টক বলে ইদানীংকালে এই ফল দিয়ে অনেকে জ্যাম ও জেলি বানিয়ে থাকেন। এর গাছের পাতাও শাক হিসেবে রান্না করে খাওয়া যায়।

 

 

আফ্রিকার বহু দেশে রোজেলা চা অতিথি আপ্যায়নে দেয়া হয়।বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইন্সটিটিউট সম্প্রতি রোজেলা চা বানানোর উদ্যোগ নিয়েছে।

 

 

পাট পাতা দিয়ে চায়ের উদ্ভাবক বাংলাদেশ জুট মিলস কর্পোরেশনের উপদেষ্টা এইচ এম ইসমাইল খান বলছেন, শুকিয়ে চা হিসেবে খাওয়ার বিষয়টি বাংলাদেশে নতুন হলেও বিশ্বের অনেক দেশে রোজেলা চা বা শরবত হিসেবে এটি খাওয়া হয়।

 

 

ঢাকায় অনেক দোকানে ইদানীং বিদেশ থেকে আমদানি করা রোজেলা চা পাওয়া যাচ্ছে। মিশরসহ আফ্রিকার অনেক দেশে কেউ বাড়িতে বেড়াতে এলে আপ্যায়নের সময়, হোটেলে রেস্তোরাঁয় ওয়েলকাম ড্রিংক হিসেবে ঠাণ্ডা করে গ্লাসে এটা সবসময় দেয়া হয়।

 

 

দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার অনেক দেশেও এটি জনপ্রিয়। এর বেশ রপ্তানি সম্ভাবনা রয়েছে। তার ভাষায়, “সেটি মাথায় রেখে যদি এর চাষ বাড়ানো যায় তাহলে নতুন একটি রপ্তানি পণ্য পেতে পারে বাংলাদেশ।

 

তথ্যসূত্রঃ সবুজ বাংলাদেশ ২৪