বাড়ির পরিত্যক্ত স্থানে বস্তা পদ্ধতিতে আদা চাষে সফল রুবেল

গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের উত্তর ফরিদপুর গ্রামে এনজিও কর্মী রুবেল শেখ বস্তায় আদা চাষ করছেন। বাড়ির পরিত্যক্ত স্থানে বস্তা পদ্ধতিতে আদা চাষে দেখা দিয়েছে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা।

 

 

জানা যায়, বাড়ির ভেতর ঘরের বারান্দায় ও আঙ্গিনা এবং বাড়ির বাহিরের উঠানের ছায়াযুক্ত স্থানে সারিবদ্ধভাবে বস্তা বসিয়ে আদা চাষ করছেন রুবেল। বস্তা পদ্ধতি আদা চাষে তার খরচ হয়েছে মাত্র ১৭ হাজার টাকা। এ থেকে প্রায় লক্ষাধিক টাকার আদা বিক্রি করা যেতে পারে বলে জানা যায়।

 

 

উদ্যোক্তা রুবেল শেখ বলেন, স্থানীয় বাজার থেকে সারের খালি বস্তা সংগ্রহ করে তাতে বেলে দো-আঁশ মাটি দিয়ে প্রত্যকটি বস্তায় পরিমাণ মতো জৈব-রাসায়নিক-কম্পোস্ট সার ও দানাদার কীটনাশক ওইসব মাটির সঙ্গে মিশ্রিত করে বস্তাপ্রতি ২ থেকে ৩টি করে আদা রোপণ করেছি।

 

 

তিনি আরও বলেন, বাড়িতে আদা-মাছ-ঘাস চাষে আমার বাবা-স্ত্রী-বোন সবসময় সহযোগিতা ও উৎসাহ যোগাচ্ছেন। এই পদ্ধিতে আদা চাষে ফলন বেশি পেতে পারি। আশা করছি আমি লাভবান হবো।

 

 

এ অঞ্চলে প্রত্যেক চাষিদের বাড়িতে পরিত্যক্ত জায়গায় রয়েছে। তারা যেন এইভাবে আদা চাষবাদ করেন, সে বিষয়ে সবাইকে উৎসাহিত করছি।

 

 

সাদুল্লাপুর উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম বলেন, সাধারণভাবে আদা চাষের চেয়ে বস্তা পদ্ধতি চাষ করা অনেকটাই লাভজনক।

 

 

এ নিয়ে অন্যান্য কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে কৃষক রুবেলকে লাভবান করতে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করা হচ্ছে।

 

তথ্যসূত্রঃ আধুনিক কৃষি খামার