বিক্রয় মূল্য ভাল পাওয়ার মাঝারি গরু পালনে ঝুকছে খামারিরা!

কোরবানির ঈদের হাটে ছোট ও মাঝারি সাইজের গরুর বেশ চাহিদা ছিল। গত কয়েক বছরের তুলনায় এবছর খুলনার খামারিরা বেশি দামে গরু বিক্রি করতে পেরেছেন বলে জানিয়েছেন। আগামীতে খামারে ছোট ও মাঝারি সাইজের গরু বেশি পালন করবেন বলে খামারিরা জানান।

 

 

কুষ্টিয়া সদর উপজেলার দৌলতপুর, মিরপুর ও কুমারখালীর কয়েকজন খামারিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর গরুর দাম ভালো ছিল।

 

 

খামারিরা গরু বিক্রি করে লাভ করতে পেরেছেন। এবছর ছোট ও মাঝারি সাইজের গরু বেশি বিক্রি হওয়ায় আগামীতেও তারা এই সাইজের গরু পালনের কথা বলেন।

 

 

কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার বিত্তিপাড়া এলাকার কৃষক খায়রুল বলেন, গত কয়েক বছরের তুলনায় এবছর বাজার ভালো ছিল। আমি ৩ টি গরু নিয়ে যাই ঢাকার গাবতলী পশুর হাটে।

 

 

বাড়িতে গরুর দাম গড়ে ৭০-৮০ হাজার টাকা ছিল, সেই গরু ঢাকায় গড়ে ১ লাখ টাকায় বিক্রি করে এসেছি। এবছর মাঝারি সাইজের গরু বেশি বিক্রি হয়েছে। তাই আগামীতে দেশী ছোট ও মাঝারি জাতের গরু পালনের কথা ভাবছি।

 

 

মিরপুর উপজেলার সদরপুর গ্রামের শহিদুলের স্ত্রী রাহেলা খাতুন বলেন, এবছর ৩ টি গরু বিক্রি করেছি। আশা করিনি এবছর বিক্রি করতে পারবো। ঈদের ৩ দিন আগেই সব গরু বিক্রি হয়ে গেছে। গত বছরের তুলনায় এবছর ভালো দাম পেয়েছি।

 

 

কুষ্টিয়া জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোঃ সিদ্দিকুর রহমান বলেন, এবছর বিক্রির জন্য ১ লাখ গরু, মহিষ ও ৮০ হাজার ছাগল, ভেড়া পালন করা হয়। যার দাম প্রায় ১ হাজার ২৫০ কোটি টাকা।

 

 

এবছর দাম ভালো পাওয়ায় খামারি ও কৃষকরা খুশি। আগামীতে এ জেলায় পশু পালন আরো বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি মনে করেন।

 

তথ্যসূত্রঃ আধুনিক কৃষি খামার