ওলকচু বাণিজ্যিকভাবে চাষ করে বিঘা প্রতি লাভ লাখ টাকা

সব ধরনের মাটিতেই ওল চাষ করা যায়, তবে বেলে-দোআশ মাটিতে ভালো ফলন হবে। সাধারণত চৈত্র-বৈশাখ মাসে ওল লাগানো হলেও ভালো দাম পেতে হলে আগাম চাষের জন্য মাঘ-ফাল্গুন মাসে লাগানো উত্তম।

 

 

সাতক্ষীরায় বাণিজ্যিকভাবে ওল চাষ হচ্ছে। বিঘাপ্রতি অল্প খরচে লাখ টাকার বেশি লাভ হওয়ায় জেলার তালা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের কৃষকরা ফসলটি উৎপাদনে ঝুঁকছেন।

 

 

চাষিরা বলেন, ওল চাষে প্রতি বিঘায় ২৫-৩০ হাজার টাকা খরচ হলেও বিক্রির পর লাভ হয় লাখ টাকা পর্যন্ত।উপজেলার নগরঘাটা ইউনিয়নের আলিপুর গ্রামের কৃষক কালাম হোসেন ও ফারুক হোসেন এবং নজরুল ইসলাম বাণিজ্যিকভাবে ওল চাষ করে সফলতা পেয়েছেন।

 

 

সব খরচ বাদ দিয়ে প্রতি বিঘা জমিতে তারা আয় করছেন প্রায় লাখ টাকা। এতে তাদের সংসারে ফিরেছে সচ্ছলতা, এবং তাদেরকে দেখে ওল চাষের প্রতি আগ্রহী হয়েছেন অনেক কৃষক।

 

 

মিঠাবাড়ি গ্রামের চাষি নজরুল ইসলাম বলেন, চৈত্র মাসে জমিতে ওলের বীজ রোপণ করা হলে তা পূর্ণতা পেতে ছয় মাসের মতো সময় লাগে। সেই হিসেবে আমরা ভাদ্র মাসে ওল উত্তোলন করে থাকি। একেকটি ওল ৮ থেকে ১০ কেজি ওজনের হয়ে থাকে। ওল অত্যন্ত সুস্বাদু হওয়ার কারণে বাজারে ওলের চাহিদাও অনেক বেশি।

 

 

আলিপুর গ্রামের ফারুক হোসেন বলেন, বিঘাপ্রতি ১১০-১২০ মণ ওল উৎপাদিত হয়। সিজনের প্রথম দিকে ১ মণ ওলের বাজার মূল্য ১২০০ টাকা থাকে।

 

 

সেই হিসেবে ১ বিঘা জমি থেকে উৎপাদিত ত্তলের বাজার মূল্য ১ লাখ ৩২ হাজার থেকে ১ লাখ ৪৪ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।

 

 

একই গ্রামের কৃষক কালাম হোসেন বলেন, আমি আমার জমিতে বাণিজ্যিকভাবে ওল চাষ শুরু করি। তিন বছর ধরে ওল চাষ করছি।

 

 

বর্তমানে এক বিঘা জমিতে ওল চাষ করেছি। ওল চাষে তেমন খরচ হয় না। বীজ ও গোবর সার মিলিয়ে খরচ হয় সর্ব্বোচ্চ ২৫-৩০ হাজার টাকা।

 

 

সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে উপ-পরিচালক মো. নূরুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে সাতক্ষীরা জেলায় বাণিজ্যিকভাবে ওল চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। প্রতি বিঘা জমি থেকে ১ লাখ টাকারও বেশি মুনাফা আসায় প্রতি বছর এই সবজির চাষ বেড়েই চলেছে।

 

তথ্যসূত্রঃ. আধুনিক কৃষি খামার