মিশ্র ফলের বাগান করে সফল শহিদুল, প্রতি মাসে আয় ২ লাখ টাকা!

সিরাজগঞ্জের সদর উপজেলার তেতুলিয়া বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম মিশ্র ফলের বাগান করে সফলতা পেয়েছেন। বাগান তৈরি প্রথম বছর ভালো ফলন হয়েছে। তার এই সফলতা দেখে এলাকার অনেক বেকার যুবক মিশ্র ফলের বাগানে আগ্রহী হচ্ছেন।

 

 

সরেজমিনে বাগান গিয়ে দেখা যায়, বাগানের গাছে গাছে ধরেছে নানা রঙের ড্রাগন ফুল ও ফল। তাছাড়া তার বাগানে ৬ প্রজাতির ড্রাগন ফল, ২৬ প্রজাতির দেশি-বিদেশি আম, ৩ প্রজাতির মালটা, ২ প্রজাতির কমলা, খেজুরসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফলজ গাছের চাষ করেছেন।

 

 

শহিদুল ইসলাম বলেন, সেনাবাহিনীর চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের পর ২০২১ সালে কৃষি কাজে মনোনিবেশ করি। তেতুলিয়া এলাকায় ৪ বিঘা জমি লিজ নিয়ে ১৫০০ ড্রাগন চারা রোপণ করেন। এবছর ১৫০০ কেজি ফল বিক্রি করেছেন। বাজার মূল্য ৪ লাখ টাকার উপরে। আগামী অক্টোবর মাসে পুরোপুরি উৎপাদনের আসবে।

 

 

তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যেই আমার বাগানে চারা উৎপাদন শুরু হয়েছে। নতুন করে আরও ২৬০০ চারা রোপণ করেছি। ফল ও চারা বিক্রি করে প্রতি মাসে গড়ে প্রায় দেড় থেকে ২ লাখ টাকা আয় করতে পারবো। আমার এই মিশ্র ফলের বাগান করতে এ পর্যন্ত ২০ লাখ টাকা খরচ হয়েছে।

 

 

সিরাজগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বাবুল কুমার সূত্রধর বলেন, আমি নিজে তার বাগান পরিদর্শন করেছি। বাগানের পরিচর্যা এবং ফল বৃদ্ধির কৌশল সম্পর্কে পরামর্শ দেওয়া হয়।

 

 

বিদেশি ফল ড্রাগন চাষে খরচ কম। দেশেই নানা জাতের ড্রাগন চারা পাওয়ায় এ চাষাবাদে বেকার যুবকদের স্বাভলম্বী হওয়ার ব্যাপক সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

 

তথ্যসূত্রঃ আধুনিক কৃষি খামার