হাঁস পালন করে মাসে আয় লক্ষাধিক টাকা নরসিংদীর রফিকুলের

নরসিংদীর পলাশ উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের ইছাখালি গ্রামের রফিকুল ইসলাম ইফতি হাঁসের খামার করে অল্পদিনেই সফলতার মুখ দেখা শুরু করেছেন। বর্তমানে এই হাঁসের খামার থেকে প্রতি মাসে আয় করছেন লক্ষাধিক টাকা। তার এ উদ্যোগে অনুপ্রাণিত হচ্ছেন স্থানীয়রা।

 

 

জানা যায়, ১ বছর আগে নিজের পৈতৃক জমিতে হাঁসের খামার করেন তিনি। এরপর মাত্র ২’শত হাঁসের বাচ্চা দিয়ে ছোট পরিসরে গড়ে তোলা হয় হাঁসের খামার।

 

 

পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে নিজেকে স্বাবলম্বী করতে গড়ে তোলতে দেওয়া হয়েছে হাঁসের খামার বলে জানা যায়। তিনি তার খামারে কাজের সুযোগ করে দিয়েছেন এলাকার কিছু বেকার যুবকদেরও।

 

 

রফিকুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে ২ হাজারের বেশি সংখ্যক হাঁস। এরমধ্যে ডিম পাড়া হাঁসের সংখ্যা প্রায় ১ হাজার। প্রতিদিন হাঁসের ডিম বিক্রি করে আয় করছেন ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা।

 

 

এছাড়া মাংসের জন্য ১ একটি হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়। প্রতিদিনই দূর-দূরান্ত থেকে বিভিন্ন পাইকাররা এসে র খামার থেকে হাঁস ও ডিম কিনে নিচ্ছেন।

 

 

তিনি আরও বলেন, হাঁসের খামারে ঝুঁকি ও ঝাঁমেলা অনেক কম, লাভও বেশি। বাজারে হাঁসের মাংস ও ডিমের অনেক চাহিদা রয়েছে। খামারের পাশে পুকুর ও বিল থাকায় হাঁসের খাবারের পরিমাণও কম লাগছে।

 

 

দিনের অধিকাংশ সময় হাঁসগুলো পুকুর ও বিলে থাকে। সেখানে শামুক, পোকামাকড় খেয়ে হাঁসের খাবারের চাহিদা পুরণ হচ্ছে। নিয়মিত পরিচর্যা করলে হাঁসের তেমন রোগবালাইও দেখা যায় না।

 

 

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. শফিকুল আলম বলেন, রফিকুলের হাঁসের খামার আমরা পরিদর্শন করেছি। সে একজন সফল খামারি। তাকে দেথে অনেকে হাঁসের খামার দিতে চাচ্ছেন।

 

তথ্যসূত্রঃ আধুনিক কৃষি খামার