স্বল্প খরচে দিনাজপুরে বহুমাত্রিক লাভের আশায় একই জমিতে লিচু, লেবু ও ধান চাষ সবার দৃষ্টি কেড়েছে। ব্যায় কম কিন্তু তিন ফসলের লাভ একসাথে পাচ্ছেন দিনাজপুরের শিক্ষক গৌতম চন্দ্র দাস। ওই জমিতে তিনি লিচু ও লেবু ছাড়াও এবার বোরো ধান চাষ করেন। ধান চাষের আগে আলু চাষও করেছেন।
সারা বছরই ফসল চাষের পাশাপাশি লিচু ও লেবু তো আছে। অনেক চাষী এখন তার এই মিশ্র ফল ও ফসলের চাষাবাদ দেখতে আসছে। দিনাজপুর সদরের চকরামপুর বাজার এলাকার চাষী গৌতম চন্দ্র দাস সম্প্রতি পলিটেকনিক এর শিক্ষক হিসেবে চাকরিও পেয়েছেন। দিন দিন জমি কমছে। খাদ্য চাহিদা ও জনসংখ্যা বাড়ছে। এটাকে লক্ষ্য করেই একই জমিতে ফল ও ফসলের চাষ করলে ভাল লাভবান হওয়া যাবে এটাই মনে করেন তিনি।
একসাথে ফল ও ফসলের চাষ সম্পর্কে পলিটেকনিক শিক্ষক গৌতম চন্দ্র দাস জানান, প্রথমবারের মতো ১৮ শতাংশ ধান, আলু চাষের জমিতে ১৬টি বোম্বাই জাতের লিচু গাছ এবং ১০০ লেবুর চারা রোপন করেছি।
জমিতে লিচুর গাছ ১৬-২০ হাত পরপর বর্গাকারে লাগাই, মাঝখানের ফাঁকা জায়গাগুলোতে বারোমাসি লেবু গাছের রোপণ করেছি এবং এখান থেকে ভালো একটা উপার্জন করতে পারবো।
এতে ধানের ফলনের কোন সমস্যা পায়নি। এরই মধ্যে লিচু বিক্রি করছি। ২৫-৩০ হাজার টাকা লিচু থেকে পাওয়ার আশা করছি। আর লেবু আগামী দুইমাস পর থেকে বিক্রি শুরু করতে পারবো এবং সারাবছরই বিক্রি করা যাবে। একসাথে ফল ও ফসলের চাষে সার কীটনাশকসহ ব্যয় অনেক কম হয়। আয় বেশী হয়।
তিনি আরও জানান, এর আগে আমাদের ৭২ শতাংশ জমিতে লেবু এবং লিচুর মিশ্র বাগান করেছি। সেখানে লিচু ৪০টি এবং সীডলেস ও এলাচি জাতের বারোমাসি লেবু গাছ আছে প্রায় ৫৫০টি। এবছর প্রায় আড়াই থেকে তিন লক্ষ টাকার লেবু বিক্রি হবে বলে আশা করছি। পাশাপাশি ৩৫ হাজার টাকার লিচু বিক্রয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।
আবার লেবুর চারা তৈরি করে তা বিক্রি করেও অধিক আয় করা যায়। চাকরির পিছনে না ছুটে লেবুর বাগান বা মিশ্র বাগান করেও নিজের ভাগ্য বদলাতে পারেন যে কেউ এটা আমি মনে করি। শুধুমাত্র তুলনামূলক খরচ কম, ফলন বেশি, বারোমাস ফলন দেয় এবং বাজারে সবসময় চাহিদা থাকায় বারোমাসি সীডলেস ও এলাচি জাতের লেবু চাষ করলেই লাখোপতি হওয়াও সহজ।
তথ্যসূত্রঃ দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন