গলাচিপায় বিভিন্ন প্রজাতির বিদেশী আম চাষে সফলতা মো. পলাশের

থোকায় থোকায় ঝুলছে রঙিন আম। প্রথমে দেখে বোঝার উপায় নেই এগুলো আম। দেশের প্রচলিত পাকা আমের রঙ হয় লল। তবে এগুলো পাকলে পুরোটাই হয়ে যায় বেগুনি রঙের।

 

 

অবশ্য ভেতরের রঙ ঠিকই লাল। পটুয়াখালীর গলাচিপা অঞ্চলের মাটির উর্বরতা বেশি থাকা ও প্রাকৃতিক আবহাওয়ার কারণে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে অন্তত এক মাস পূর্বে এসব আমের ফলন উঠে যায়। তাই কৃষকরা এসব আম চাষে বেশি লাভবান হতে পারবে।

 

 

গলাচিপা পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড ফিডার রোড সংলগ্ন এলাকায় মো. পলাশ আহম্মেদ নিজে ঢাকাতে চাকুরীজীবী হয়েও শখের বশে নিজ বাড়ির আঙিণায় প্রায় আট শতক জমিতে ৪০টি বিভিন্ন প্রজাতির বিদেশি আম গাছের চারা রোপন করে মাত্র তিন বছরে আমের ফলন পেয়ে সফলতা অর্জন করেছেন।

 

 

তার চাষকৃত অত্যন্ত দামী ও সুস্বাদু গাছের মধ্যে রয়েছে সূর্যডিম, ফিলিপাইন জাত, চাকাবয়, গৌরমতি, আর টু ই টু, পিন ম্যাংগো, জিয়াংমাই, ফিলিপাইন সুইট, তকমাই, থাইল্যান্ডের ব্যানানা ম্যাংগো, থাইল্যান্ডের ভ্যারাইটি ও হানিডু আম গাছ।

 

 

প্রতিটি আমের ওজন তিনশত থেকে আটশত গ্রাম পর্যন্ত হয়ে থাকে। প্রতিটি গাছের উচ্চতা চার থেকে আট ফুট পর্যন্ত। এসব গাছে পর্যাপ্ত ফলন ধরেছে।

 

 

পলাশ আহম্মেদ জানান, পরীক্ষামূলকভাবে বিদেশী আম চাষে তিনি বেশ লাভবান হয়েছেন। তিনি প্রতিকেজি আমের মূল্য পাঁচশত থেকে এক হাজার টাকা বিক্রি করে থাকেন।

 

 

এতে এক লাখ বিশ হাজার টাকা বিক্রি করতে পারবেন বলে তিনি আশা করছেন। আমাদের এই অঞ্চলে বিভিন্ন প্রজাতির বিদেশী আম কৃষক পর্যায়ে ব্যাপকভাবে চাষ করা হলে তারা বেশ লাভবান হবেন।

 

 

এ বিষয়ে উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, এ বাগানে তার প্রত্যক্ষ তদারকি, প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সার্বক্ষণিক সহযোগিতার মধ্য দিয়ে আম চাষে পলাশ এ সফলতা পেয়েছেন।

 

 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরজু আক্তার বলেন, বিদেশী আম চাষে কৃষকরা আগ্রহী হলে কৃষি অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে সার্বিকভাবে তাদেরকে সহযোগিতা করা হবে এবং এসব আম চাষে কৃষকরা যাতে উৎসাহিত হয় তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

তথ্যসূত্রঃ দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন