যক্ষ্মার জীবাণু শনাক্ত হোল গরু আর ছাগলের মাংসে

প্রাণিজ আমিষের অন্যতম উৎস গরু ও ছাগলের মাংস। কিন্তু সম্প্রতি বাজারে বিক্রয় করা গরু ও ছাগলের মাংসে যক্ষ্মার জীবাণু পাওয়া গেছে। গরু ও ছাগলের মাংসে যথাক্রমে শতকরা ৩ ও ১৫ ভাগ যক্ষ্মার জীবাণুর উপস্থিতি শনাক্ত করেছে গবেষকরা।

 

 

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) প্যাথলজি বিভাগের অধ্যাপক ও বাকৃবি রিসার্চ সিস্টেমের (বাউরেস) সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আবু হাদী নূর আলী খানের গবেষণায় উঠে এসেছে এমন তথ্য।

 

 

জানা যায়, গবেষণায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে জীবন্ত গরুর আড়াই হাজার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। একই সঙ্গে সংরক্ষিত উৎস থেকে পাঁচ শতাধিক নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়।

 

 

যেখানে গরুর মাংসে যক্ষ্মার জীবানুটি হচ্ছে মাইকোব্যাক্টেরিয়াম বোভিস। এ ছাড়া ছাগলের মাংসে মাইকোব্যাক্টেরিয়াম টিউবারকুলোসিস, সিউডোটিউবারকুলোসিসসহ কয়েক ধরনের যক্ষ্মার জীবানু শনাক্ত করা হয়।

 

 

গবেষক অধ্যাপক ড. মো. আবু হাদী নূর আলী খান জানান, গরু ও ছাগলের মাংসে উপস্থিত যক্ষ্মার জীবাণু মানুষের শরীরে আক্রমণের ঝুঁকিতে রয়েছে।

 

 

বিশেষ করে চিড়িয়াখানা, কসাইখানা, ডেইরি ফার্মে কর্মরত ব্যক্তিদের সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি রয়েছে। তবে এখনই আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। মাংস সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও রান্নার সময় সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শও দেন এই গবেষক।

 

তথ্যসূত্রঃ আধুনিক কৃষি খামার