মিরসরাই উপজেলার ২ নম্বর হিঙ্গুলী ইউনিয়নের আজমনগর গ্রামে সফল মৎস্য চাষি আনোয়ার হোসেন। ২০০৮ সালে ১০ লাখ পুঁজি দিয়ে ২ একর জায়গায় মৎস্য চাষ শুরু করেন। বর্তমানে তার প্রকল্প ১৫০ একর জমির উপর অবস্থিত। তাঁর দেখাদেখি এখন অনেকে মাছ চাষে ঝুঁকছেন।
জানা যায়, আনোয়ার হোসেন ২০০৮ সালে অল্প পুঁজি নিয়ে মৎস্য চাষ শুরু করলেও বর্তমানে তিনি একজন সফল মৎস্য চাষি। ১৫০ একরে প্রকল্পের গেলে দুই চোখ জুড়িয়ে যায়।
তাঁর প্রকল্পের পাড়ে ফুল, ফলের বাগান ও সবজি বাগান রয়েছে। তাছাড়া ২০১৮ সালে মিরসরাই উপজেলা সেরা মৎস্য উৎপাদনকারীর পুরস্কার অর্জন করেন। ২০১৯ সালে পাবদা, গুলসা জাতের মাছ চাষের জন্য চট্টগ্রামের সেরা মৎস্য উৎপাদনকারীর পুরস্কার পেয়েছে আনোয়ার হোসেন।
মৎস্য চাষি মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, পড়াশোনা শেষ করে আমার এলাকায় ২/১ পুকুরে মাছ চাষ শুরু করি। তারপর ২০০৮ সালে মোস্তফা ভাইয়ের পরামর্শে ২ একর জমিতে ১০ লাখ টাকা পুঁজি নিয়ে বাণিজ্যিকভাবে মাছ চাষ শুরু করি।
বর্তমানে ১৫০ একর জমির উপরে মাছ চাষ করছি। যার মধ্যে ৫৫ একর জমি আমি নিজ ক্রয় করেছি। আমার প্রকল্পে মাছ চাষের পশাপাশি পুকুরে পারে ফুল, ফল, সবজি চাষও করা হয়।
তিনি আরও বলেন, আমি বেশি সাদা মাছ চাষ করি। তার মধ্যে রুই, কাতাল, মৃগেল, গ্রাস কার্প, তেলাপিয়া, শিং মাগুর, পাবদা, গুলসা।
এবার প্রায় ৬০ লাখ গুলসা চাষ করেছি। পাশাপাশি বারইয়ারহাটে আনোয়ার এগ্রো কমপ্লেক্স নামে আমার একটি ফিডের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। আমি প্রায় দেড়শ একর প্রকল্পে কয়েক কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছি।
এ বিষয়ে মিরসরাই উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা নাসিম আল মাহমুদ বলেন, আনোয়ার হোসেন একজন সফল মৎস্যচাষি। ইতোমধ্যে তিনি উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে পুরস্কার পেয়েছেন। তাঁর দেখাদেখি অনেক বেকার যুবক এই পেশায় আসছে। আমরা উপজেলা মৎস্য অফিস থেকে সাধ্যমত সহযোগিতা করে আসছি।
তথ্যসূত্রঃ আধুনিক কৃষি খামার