বাল্বের কৃত্রিম আলোয় এখন চাষ করা যাবে ড্রাগন

কৃত্রিম আলোয় ড্রাগন উৎপাদন করে সফলতা পেয়েছে চট্টগ্রামের কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের গবেষকরা। অফ সিজনে (মৌসুম ছাড়া) বাল্বের কৃত্রিম আলোয় এখন চাষ করা যাবে ড্রাগন।

 

 

এমন সাফল্য দেশে এটিই প্রথম বলে দাবি সংশ্নিষ্টদের। গবেষকদের মতে, ব্যাপকভাবে এই পদ্ধতি প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকদের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া গেলে মৌসুমের চেয়ে অফ সিজনেই বেশি ড্রাগন উৎপাদন সম্ভব। এ ছাড়া এই পদ্ধতি অনুসরণ করে বাড়ির ছাদেও সম্ভব ড্রাগন ফল উৎপাদন।

 

 

সরজমিনে দেখা যায়, চট্টগ্রামের কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের প্রবেশমুখ পেরিয়ে কিছুদূর যেতেই দেখা যায় সারি সারি ড্রাগন গাছ। প্রতিটি সারির মাঝে ঝুলছে বাল্ব (এলইডি লাইট)। সেই আলোয় প্রতিটি গাছে একে একে পূর্ণতা পাচ্ছে ড্রাগন ফল। কোনো গাছের ডালে পূর্ণতা পেয়েছে ড্রাগন, কোনোটিতে আবার ফুল পুরোপুরি ফোটার অপেক্ষায়।

 

 

কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের গবেষণা সহকারী ও ডাটা সংগ্রহকারী মো. আবদুল হক সুমন বলেন, স্বাভাবিকভাবে মে মাসের শুরুর দিকে ড্রাগন গাছে ফুল আসা শুরু হয়। যা চলে অক্টোবর পর্যন্ত। এই সময়টিই ধরা হয় ড্রাগনের মৌসুম। কৃত্রিম বাল্বের আলো দিয়েও মৌসুম ছাড়া (নভেম্বর থেকে এপ্রিল) ড্রাগন ফল উৎপাদন করা যায়।

 

 

এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এএসএম হারুনর রশীদ বলেন, প্রথমবারের মতো শুধু আমরাই বৈদ্যুতিক বাল্বের আলো ব্যবহার করে অফ সিজনেও ড্রাগন ফল উৎপাদনে সফলতা পেয়েছি। আমাদের জানামতে এমন কাজ দেশে এটিই প্রথম। এটি প্রান্তিক পর্যায়ে ছড়িয়ে দেওয়া গেলে ড্রাগন উৎপাদনে আরও বেশি সফলতা আসতে পারে।

 

 

তিনি আরও বলেন, ড্রাগন ফল উৎপাদনের জন্য দীর্ঘ সময় সূর্যের আলোর প্রয়োজন হয়। অফ সিজনে সূর্যের আলো কম থাকায় ভালোভাবে ড্রাগন ফুল ফলে রূপান্তরিত হতে পারে না। আর এই সময়টিতে সূর্যের আলোর বিকল্প হিসেবে কৃত্রিম বৈদ্যুতিক বাল্বেবর আলো ব্যবহার করে আশানুরূপ সফলতা পেয়েছি।

 

 

সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে এসে সুতার জালে ঘেরা ড্রাগন বাগানটি সরেজমিন পরিদর্শন করেন কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক (ডিজি) ড. দেবাশীষ সরকার। কৃত্রিম বাল্ক্বের আলোয় ড্রাগন উৎপাদনের এমন উদ্ভাবনের ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি।

 

 

তথ্যসূত্রঃ  সমকাল