গ্রীষ্মকালীন নাবি, বিপুল প্লাস, রানী জাতের টমেটোর ব্যাপক চাষ শুরু হয়েছে

টমেটো মূলত শীতকালীন ফসল হলেও বর্তমানে গ্রীষ্মকালেও প্রচুর চাষ হচ্ছে। চলতি বছর দিনাজপুরে গ্রীষ্মকালীন নাবি, বিপুল প্লাস, রানী জাতের টমেটোর ব্যাপক চাষ শুরু হয়েছে। এইবার টমেটোর ভালো ফলন ও বাড়তি দামে খুশি চাষিরা। কৃষক ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, আগামী দিনে টমেটোর দাম আরও বাড়বে।

 

 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত অর্থবছরে জেলায় ১ হাজার ১১ হেক্টর জমিতে টমেটোর আবাদ করা হয়েছিল। উৎপাদন হয়েছিল ৪৮ হাজার ৯৪০ মেট্রিক টন। এবার ৯৫৫ হেক্টর জমিতে টমেটোর চাষ করা হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪৬ হাজার ২২২ মেট্রিক টন টমেটো।

 

 

দিনাজপুরের সবচেয়ে বড় টমেটোর বাজার গাবুড়ায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রতি মণ ‘বিপুল প্লাস’ জাতের টমেটো ৬৮০ থেকে ৭৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে ‘রানী’ জাতের টমেটো ৫১০ থেকে ৫৫০ ও ‘পভলিন সিট’ জাতের টমেটো ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা মণ বিক্রি হচ্ছে।

 

 

গাবুড়া টমেটো বাজার সমিতির সভাপতি মোমিনুল ইসলাম বলেন, প্রতিদিন এই বাজার থেকে ৩৫ থেকে ৪০টি টমেটোর ট্রাক লোড হয়। এবার টমেটোর আমদানি কম। গত বছর দৈনিক ৭০টিরও বেশি ট্রাক লোড হয়েছে। প্রতি ট্রাকে পাঁচ শ ক্যারেট লোড করা যায়। একটি ক্যারেটে ২৪ থেকে ২৬ কেজি পর্যন্ত টমেটো ধরে।

 

 

টমেটো বিক্রি করতে আসা চাষি আফাজ উদ্দিন জানান, এবার চার বিঘা জমিতে ‘রাণী’ জাতের টমেটো চাষ করেছেন তিনি। জমি প্রস্তুত, সার-কীটনাশক, শ্রমিকের মজুরিসহ ফসল তোলা পর্যন্ত প্রতি বিঘায় তাঁর ৬৮ হাজার টাকা করে খরচ হয়েছে।

 

 

গতকাল পর্যন্ত চার বিঘা জমি থেকে তিনি ২৩৬ মণ টমেটো তুলেছেন। এপ্রিলের শুরুতে টমেটো তোলা শুরু করেছিলেন। প্রথম দিকে ৪০০ টাকা মণ বিক্রি করলেও গত কয়েক দিনে মণপ্রতি ১২০ থেকে ১৫০ টাকা বেশি পাচ্ছেন।

 

 

নারায়ণগঞ্জ থেকে টমেটো কিনতে দিনাজপুরে এসেছেন সেন্টুর আলী। গতকাল বেলা ১১টা পর্যন্ত চার হাজার কেজি টমেটো কিনে ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় পাঠিয়েছেন।

 

 

গত কয়েক দিন টমেটো ১৭ থেকে ২০ টাকা কেজি কিনতে হচ্ছে। ঢাকায় এটি বিক্রি হবে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়। প্রতি ক্যারেটের পেছনে গাড়ি ভাড়া গুনতে হয় ৬৫ থেকে ৭০ টাকা।

 

 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য) মো. খালেদুর রহমান বলেন, এইবার দিনাজপুরে টমেটোর ভালো ফলন হয়েছে। টমেটোর বাড়তি দাম পাওয়ায় কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে।

 

তথ্যসূত্রঃ আধুনিক কৃষি খামার