গিরিবাজ, ফ্লাই, রেইসিং, প্যান্সি, ফিজিউন জাতের কবতরের জোড়া ১৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা

কবুতর পালনে স্বাবলম্বী হচ্ছেন হবিগঞ্জের বেকার শিক্ষিত যুবকেরা। স্থানীয় পর্যায়ে কবুতরের মাংসের ব্যাপক চাহিদা ও দাম ভাল থাকায় প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে কবুতর পালনকারীর সংখ্যা।

 

 

এতে করে বেকার থেকে শুরু করে শিক্ষিত যুবকদের যেমন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে তেমনি অর্থনৈতিকভাবেও সমৃদ্ধ হচ্ছে দেশ।

 

 

হবিগঞ্জ শহরসহ আশপাশের এলাকাগুলো সুরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, প্রায় অর্ধশতাধিক স্থানে ছোট বড় কবুতরের খামার রয়েছে। গিরিবাজ, ফ্লাই, রেইসিং, প্যান্সি, ফিজিউনসহ বিভিন্ন জাতের কবুতরই বেশি পালন করছে এখানকার খামারিরা।

 

 

খামারিরা বলেন, ওইসব জাতের কবুতর ১৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা জোড়ায় বিক্রি হয়ে থাকে। যে কারণে ওই জাতের কবুতর বেশি পালন করা হচ্ছে।

 

 

কবুতর খামারি সৈয়দ মারুফ আহমেদ জানান, তিনি বাসার পাশে আলাদা রুমে গত কয়েক বছর ধরে কবুতর পালন করে আসছেন। তার খামারে ১০-১২ জোড়া কবুতর রয়েছে।

 

 

মাসুক ভাণ্ডারী নামে আরেক সৌখিন ব্যক্তি বেশ কয়েক বছর ধরে শখের বসে কবুতরের খামার দিয়েছিলেন। ব্যস্ততার কারণে তিনি সময় দিতে না পারায় খামারের কবুতর বিক্রি করার জন্য ক্রেতা খুঁজছেন। তার খামারে প্রায় ৫০-৬০ জোড়া কবুতর রয়েছে।

 

 

তারেক মিয়া নামে আরেক খামারি জানান, শখের বসে ২০১৪ সাল থেকে কবুতর পালন শুরু করি।বর্তমানে আমার খামারে প্রায় দুইশ কবুতর রয়েছে।

 

 

প্রতি মাসে সেখান থেকে আমি প্রায় ৫০-৬০ জোড়া কবুতরের বাচ্চা পাই। প্রতি জোড়া কবুতর ২ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি করি। প্রতি বছর এই খাত থেকে অন্তত ২ লাখ টাকা আয় করেন তিনি।

 

 

শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রমাপদ দে জানান, বেকার যুব সমাজকে কবুতর পালনে এগিয়ে আসতে জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদফতর থেকে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

 

 

এটি একটি লাভজনক ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। এছাড়া কবুতর পালনে শ্রম ও খরচ কম। জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ নিয়মিত এসব খামারিদের বিভিন্ন প্রয়োজনীয় সেবা ও পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।

 

তথ্যসূত্রঃ আধুনিক কৃষি খামার