ক্যাপসিকাম চাষে লাভবান ভোলার চাষিরা। কম খরচে লাভ বেশি হওয়ায় ক্যাপসিকাম চাষে আগ্রহী হচ্ছেন সেখানকার কৃষকরা। গত মৌসুমের তুলনায় চাষ হয়েছে প্রায় দ্বিগুণ।
এসব সবজি চাষ করে দারিদ্রতা জয় করেছেন অনেক কৃষক। কৃষি বিভাগের মনে করেন মাঠ পর্যায়ে সঠিক তদারকির ও পরামর্শের কারণে সফল হচ্ছেন চাষিরা।
স্থানীয় চাষিরা জানান, ৬ থেকে ৭ বছর পূর্বে মনির পাঠান নামের এক ব্যক্তি ১০ শতক জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে ক্যাপসিকাম চাষ করেন। তাতে সফলতা পেয়েছেন তিনি। পরের বছরই তিনি বড় পরিসরে চাষ শুরু করেন।
তার এই সফলতা দেখে অন্য কৃষকরাও আগ্রহী হয়ে শুরু করেছেন ক্যাপসিকামের চাষ। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন হয়েছে বাম্পার। দামও পাওয়া যাচ্ছে বেশ ভাল।
ক্যাপসিকাম চাষি হান্নান বলেন, প্রায় ২ একর জায়গায় ক্যাপসিকাম চাষ করেছেন তিনি। এতে তার খরচ হয় প্রায় ৩ লাখ টাকা। এখন পর্যন্ত প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্যাপসিকাম বিক্রি করেছেন তিনি। এছাড়াও আরও ৫ লাখ টাকা বিক্রি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরেক চাষি সিদ্দিক জানান, এই চরে আগে মাত্র ২৫ থেকে ৩০ জন এর চাষ করতেন। আর এখন ১৫০ থেকে ২০০ জন চাষ করছেন। লাভজনক হওয়ায় এই ফসলের চাষ প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ভোলা জেলার কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিনয় কৃষ্ণ বলেন, এই মৌসুমে পোকার আক্রমণ কম হওয়ায় চাষিরা আগের তুলনায় অধিক হারে লাভবান হচ্ছেন। চাষিরা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন।
তথ্যসূত্রঃ uddoktarkhoje