উচ্চমূল্যের ফসল হিসেবে অফসিজন তরমুজের আবাদে কৃষকের আগ্রহ বৃদ্ধিতে কাজ করে যাচ্ছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলার ছোটকাঞ্চনপুর গ্রামে এবার আগাম ফসল হিসেবে হলুদ তরমুজের আবাদ হয়েছে।
তরমুজের হলুদ প্রজাতির গোল্ডেন ক্রাউন ও ডায়ানা জাতের এবং কালো প্রজাতির ব্ল্যাকবেবি জাতের তরমুজ এবার প্রথমবারের মত আগাম ফসল হিসেবে আবাদ হয়েছে।
মাঠপর্যায়ে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, উন্নত প্রযুক্তির পলিমালচিং ফিল্ম, ইয়োলো স্টিকি ট্র্যাপ, ফেরোমোন ট্র্যাপ, ট্রাইকোডার্মা এবং ট্রাইকো কম্পোষ্ট প্রভৃতি প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিরাপদ উপায়ে তরমুজ চাষ করা হচ্ছে।
তরমুজের প্লটে প্রায় ৬৫০টি গাছ রয়েছে এবং প্রতিটি গাছে ২টি করে ফল রাখা হয়েছে। প্রতিটি ফলের গড় ওজন প্রায় ২.৫ কেজি।
এ বিষয়ে কৃষক মোঃ আবুল হোসেন মানিকের সাথে কথা বলে জানা যায়, উপজেলা কৃষি অফিসের সার্বিক সহযোগিতায় সে এবার প্রথমবারের মত হলুদ ও কালো জাতের অফসিজন তরমুজ চাষ করেছে।
এতে এক বিঘা জমিতে তার মোট খরচ হয়েছে প্রায় ৪৫ হাজার টাকা এবং প্রায় ১ লাখ টাকার মত নিট লাভ থাকবে বলে সে জানিয়েছে। বর্তমানে প্রতি কেজি তরমুজ সে ১০০ টাকা করে জমি থেকেই বিক্রি করছে।
তরমুজ চাষের বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ আল মামুন শিকদার এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, উপজেলা কৃষি অফিসের নিজস্ব উদ্যোগ, লজিস্টিক্যাল ও টেকনোলজিক্যাল সাপোর্ট দিয়ে কৃষক মোঃ আবুল হোসেন মানিককে উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে আগাম ফসল হিসেবে হলুদ তরমুজ চাষ করানো হয়েছে। উচ্চমূল্যের ফসল হিসেবে ভোক্তা পর্যায়ে হলুদ তরমুজের চাহিদা থাকায় আমদানি নির্ভরতা কমাতে এ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, অফটাইম তরমুজ আবাদে কেউ আগ্রহী হলে উপজেলা কৃষি অফিস হতে তাকে সার্বিক পরামর্শ প্রদান করা হবে।
তথ্যসূত্রঃ দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন