স্কোয়াশ বিক্রি করে আব্দুল লতিফের আয় লাখ টাকা

কৃষিতে নতুন সম্ভাবনা দেখাচ্ছে স্কোয়াশ। এ সবজি চাষ করেছেন নওগাঁ সদর উপজেলার মঙ্গলপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল লতিফ সুইট। কুমড়া জাতীয় এ সবজি পুষ্টিকর ও সুস্বাদু। খরচ কম ও বাজারে চাহিদা থাকায় অনেকেই আগ্রহী হচ্ছেন।

 

 

নতুন এ সবজি দেখতে প্রতিদিন সুইটের ক্ষেতে আসছেন অনেকে। দেখতে শসার মতো, কুমড়া জাতীয় এই সবজি অতি পুষ্টিকর, সুস্বাদু এবং এর চাষ লাভজনক।

 

 

তাই এ জেলার কৃষকরা এই সবজি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। এই সবজি ভাজি, মাছ ও মাংসের সঙ্গে রান্নার উপযোগী। বিশেষ করে চাইনিজ রেস্টুরেন্টে সবজি এবং সালাদ হিসেবে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।

 

 

জানা গেছে, খরচ ও পরিচর্যার তুলনায় লাভ বেশি হওয়ায় স্কোয়াশ চাষে দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে। স্কোয়াশ চাষ এ জেলায় প্রথম হলেও এরই মধ্যে চাষিদের মধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছে। এটি অনেকটা বাঙ্গির মতো দেখতে হলেও মিষ্টি কুমড়া জাতীয় সবজি।

 

 

স্কোয়াশ চাষী আব্দুল লতিফ বলেন, কৃষি অফিসের পরামর্শ ও সহযোগিতায় স্কোয়াশ বীজ রোপণ করেন। বর্তমানে স্কোয়াশগুলো বিক্রি করছেন। প্রতিটি স্কোয়াশ দুই থেকে আড়াই কেজি। তার এক বিঘা জমিতে ৫৫২টি গাছ রয়েছে।

 

 

প্রতি বিঘায় খরচ হয়েছে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। আর এখন পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। আরও ৫০ হাজার টাকা বিক্রির আশা করছেন।

 

 

স্থানীয়রা বলছেন, স্বল্পখরচে অধিক লাভবান হওয়ায় এই সবজি চাষ করছেন কৃষকরা। আগামীতে এর চাষ আরও সম্প্রসারিত হবে। তবে দেশের সব স্থানে বাজারজাত করা গেলে আরও বেশি লাভবান হবেন কৃষকরা।

 

 

নওগাঁ সদর উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আরেফিন তুহিন বলেন, রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় মালচিং পদ্ধতিতে জেলায় প্রথম স্কোয়াশ চাষ করা হয়েছে।

 

 

সার্বিকভাবে কৃষি অফিস থেকে সার ও বীজ কৃষকদের দেয়া হয়েছে। নতুন ফসল হওয়ায় এর বাজারজাতকরণে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। এটা দূর করা গেলে কৃষকরা আরও বেশি লাভবান হবেন।

 

 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সামছুল ওয়াদুদ বলেন, স্কোয়াশ চাষ অধিক লাভজনক। স্কোয়াশ চাষে এলাকার অনেক কৃষক উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন। কৃষি অর্থনীতিতে বড় পরিবর্তন আনা সম্ভব এ সবজি চাষ করে।

 

 

স্কোয়াশ চাষ নওগাঁ জেলায় প্রথম হলেও এটি ব্যাপক সাড়া ফেলেছে পুরো জেলায়। আগামীতে এর উৎপাদন ও চাষ আরও বাড়বে।

তথ্যসূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন