ছাতকে ক্যাপসিকাম চাষে সদরুল নামের এক কৃষক সফলতা পেয়েছে। তিনি উপজেলার কালারুকা ইউনিয়নের নুরুল্লাপুর গ্রামের বাসিন্দা। তার ফসলের ক্ষেতে গাছে গাছে ঝুলছে মেশি, ড্রিম, চয়েজ ও সুইট বিউটি-৩ জাতের ক্যাপসিকাম।
ফলন ভালো হওয়ায় কৃষক বেশ খুশি তিনি। তার এই চাষাবাদ দেখে অনেকেই এখন বিদেশি সবজি ক্যাপসিকাম চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
জানা যায়, গতবার তিনি মাত্র ১ বিঘা জমিতে ক্যাপসিকাম চাষ করে ভালো ফলন পাওয়ার পর এবার তিনি চাষ করেছেন ৫ বিঘা জমিতে। প্রতি বিঘায় এ পর্যন্ত খরচ হয়েছে প্রায় ৬৫ হাজার টাকা।
সব মিলিয়ে ৫ বিঘা জমিতে মোট খরচ হয়েছে প্রায় সোয়া ৩ লাখ টাকা। চারা রোপণের পর পর্যায়ক্রমে ডিএপি, এমওপি, জিং ও জৈব সার ব্যবহার করা হয়েছে। গত ১৫ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে ক্যাপসিকাম বিক্রি। মোট খরচ বাদ দিয়ে সদরুলের প্রায় ২ লাখ টাকা আয় হবে জানায় কৃষি বিভাগ।
স্থানীয় কৃষি বিভাগ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এ সবজিতে ভিটামিন বি, ই, থিয়ামিন এসিড, ফলিক এসিড, রাইবোফ্ল্যাভিন ইত্যাদি পাওয়া যায়।
ক্যাপসিকামের ক্রেতা মূলত বড় হোটেল-রেস্তোরাঁ ও চায়নিজ রেস্টুরেন্ট। তারা এটি খাবারের সাথে সালাদ হিসেবে বেশি ব্যবহার করে থাকে। সঠিক পরিচর্যা ও সময়মতো ওষুধ প্রয়োগে এই সবজি থেকে স্বল্প সময়ে ভালো লাভের সুযোগ রয়েছে।
কৃষক সদরুল ইসলাম বলেন, এখন পর্যন্ত তিনি ৮০-১২০ টাকা কেজি দরে ক্যাপসিকাম বাজারে বিক্রি করেছি। এছাড়াও সুপার শপে ক্যাপসিকাম পাইকারি বিক্রি করা হচ্ছে।
উপজেলার কৃষি অফিসার তৌফিক হোসেন খান জানান, ক্যাপসিকাম বিদেশি সবজি হলেও দেশে এই সবজির চাষ বাড়ছে। বীজ রোপণের পর থেকেই ক্যাপসিকাম-চাষিকে নানাভাবে সহায়তা করা হচ্ছে। এই সবজির চাষাবাদ বাড়াতে ও বাজারজাত করতে কৃষকদের সহায়তা করা হচ্ছে।
তথ্যসূত্রঃ আধুনিক কৃষি খামার