সুনামগঞ্জে ক্যাপসিকাম চাষে সফল হয়েছেন সদরুল হক নামের এক কৃষক। তিনি সুনামগঞ্জ জেলার ছাতকে বিদেশি সবজি ক্যাপসিকাম চাষ করে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন।
তিনি উপজেলার কালারুকা ইউনিয়নের নুরুল্লাপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি তার মাঠে চাষ করেছেন ড্রিম, চয়েজ, মেশি ও সুইট বিউটি-৩ জাতের ক্যাপসিকাম।
জানা যায়, গত বছর তিনি মাত্র এক বিঘা জমিতে ক্যাপসিকাম চাষাবাদে ভালো ফলন হওয়ায় এবার ক্যাপসিকাম চাষাবাদ করেছেন ৫বিঘা জমিতে। প্রতি বিঘায় এ পর্যন্ত বিদেশী সবজি ক্যাপসিকাম চাষে খরচ হয়েছে প্রায় ৬৫হাজার টাকা।
সব মিলিয়ে এই সবজি চাষে ৫ বিঘা জমিতে মোট খরচ প্রায় সোয়া ৩ লাখ টাকা। মোট খরচ বাদে ক্যাপসিকাম বিক্রিতে প্রায় ২ লাখ টাকা আয় হবে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
স্থানীয় কৃষি বিভাগ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এ সবজিতে ভিটামিন বি, ই, কে থিয়ামিন অ্যাসিড, ফলিক অ্যাসিড, রাইবোফ্ল্যাভিন ইত্যাদি পাওয়া যায়।
এই বিদেশী সবজির ক্যাপসিকামের ক্রেতা মুলত বড় হোটেল রোস্তুরা ও চাইনিজ রেস্টুরেন্ট। তারা এটি খাবারের সাথে সালাদ হিসেবে বেশী ব্যবহার করে থাকে। সঠিক পরিচর্যা ও সময় মত ওষুধ প্রয়োগে এই সবজি থেকে স্বল্প সময়ে ভালো লাভের সুযোগ রয়েছে।
ছদরুল ইসলাম বলেন, ক্যাপসিকামের বীজ বপনের পর গাছ গুলো নিয়মিত পরিচর্যা করতে হয়। গাছ লাগানোর ৩০ থেকে ৩৫ দিনের মধ্যে ফুল আসতে শুরু করে। ফুল আসার ২৫ দিনের মধ্যে ফল বিক্রির উপযুক্ত হয়। কয়েক মাস পর্যন্ত ফল পাওয়া যায় এই গাছ থেকে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তৌফিক হোসেন খান বলেন, বাণিজ্যিকভাবে ছাতকে এখন ক্যাপসিকাম চাষাবাদ শুরু হয়েছে। বীজ রোপণের পর থেকেই ক্যাপসিকাম স্থানীয় চাষিকে নানা ভাবে সহায়তা করা হচ্ছে। এটির চাষাবাদ বাড়াতে ও বাজারজাত করতে কাজ করছে স্থানীয় উপজেলা কৃষি বিভাগ।
তথ্যসূত্রঃ আধুনিক কৃষি খামার