সাধারনত বানিজ্যিক কোয়েল নিজেরা ডিমে তা দিয়ে বাচ্চা ফুটায় না। কৃত্রিম পদ্ধতিতে ইনকিউবেটর মেশিনের সাহায্যে কোয়েলের ডিম থেকে বাচ্চা ফুটাতে হয়। ইনকিউবেটর মেশিনের সাহায্যে কোয়েলের ডিম থেকে বাচ্চা ফুটের বের হতে প্রায় ১৭-১৮ দিন সময় লাগে।
ইনকিউবেটর মেশিন দিয়ে বাচ্চা ফুটাতে হলে ৪ টি বিষয় কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হয়-
তাপমাত্রা (৩৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস)- তাপমাত্রা ০.৫ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশী ওঠানামা করানো যাবে না।
আদ্রতা (৬৫-৭৫% আপেক্ষিক আর্দ্রতা)
ভেন্টিলেশন/বায়ু চলাচল-বায়ুচলা চল করে এমন জায়গায় মেশিন টি রাখতে হবে।
টার্নিং/ ডিম ঘুরিয়ে দেয়া- প্রতি ঘণ্টায় একবার ডিম ঘুরিয়ে দিতে হবে।
বর্তমানে দেশে ভাল মানের আধুনিক অটোমেটিক ইনকিউবেটর মেশিন পাওয়া যায়।
ইনকিউবেটর মেশিনে ২ টি অংশ থাকে।
সেটার- এই অংশে ডিম ৯৯.৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট(F) তাপমাত্রায় ও ৮৬-৮৭ ডিগ্রি F আদ্রতায় ১৫ দিন রাখা হয়।এর পরে ডিমের খোলসে ফাটল বা পিপিং শুরু হলে ডিম হ্যাচারে স্থানান্তর করতে হবে।
হ্যাচার- এই অংশে ডিম গুলো ৯৮.৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রা ও ৯০ ডিগ্রি ফারেনহাইট আদ্রতায় রাখতে হবে। এই সময় ডিম ঘুরানো বন্ধ রাখতে হয়। ডিমের খোলস থেকে বাচ্চা বের হবার সর্বোচ্চ ২৪-৩৬ ঘন্টার মধ্যে বাচ্চা গুলা হ্যাচার থেকে বের করে নিয়ে আসতে হবে।
ভাল হ্যাচিং রেট পেতে কিছু পরামর্শঃ
প্রথমেই মেশিনে বসানোর জন্য ডিম গুলো বাছাই করতে হবে।মশিনে বসানোর জন্য মাঝাবি আকারের ডিম সিলেক্ট করতে হবে।একেবারে ছোট এবং অস্বাভাবিক বড় আকারের ডিম গুলো বাদ দিতে হবে। ফাটা বা ছিদ্রযুক্ত ডিম বাদ দিতে হবে।
ডিমের সাথে কোনো ময়লা থাকলে তা শুষ্ক নরম কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এরপরে ডিমগুলো ছড়িয়ে রেখে নির্ধারিত মাত্রায় টিমসেন বা ফরমালিন বা অন্যান্য জীবাণুনাশক স্প্রে করে ডিম গুলো হাল্কা শুকিয়ে নিতে হবে এবং এরপরে ডিমগুলো মেশিনের সেটার ট্রেতে বসাতে হবে।
ডিম বসানোর সময় সরু বা চিকন অংশ নিচের দিকে আর মোটা অংশ উপরের দিকে দিয়ে বসাতে হবে।
দিনরাত ২৪ ঘন্টাই বিদ্যুৎ বা জেনারেটর বা আইপিএস ব্যবস্থা থাকতে হবে।
তথ্যসূত্রঃ সোনালি কৃষি