হাঁসের খামারে স্বাবলম্বী সুমন, বছরে আয় প্রায় চার লাখ টাকা

কুড়িগ্রামে হাঁসের খামারে স্বাবলম্বী হয়েছেন সুমন। তিনি কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজলার রমনা ইউনিয়নের খন্দকার পাড়ার বাসিন্দা। দীর্ঘ সময় প্রবাসে থাকার পর দেশে ফিরে এসে হাঁস পালনের মাধ্যমে স্বাবলম্বী হয়েছেন তিনি। তার দেখাদেখি এখন অনেক বেকার যুবক হাঁস পালনে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।

 

 

প্রবাস ফেরত সুমন মিয়ার দিন বদলেছে হাঁস খামার করে। অভাবের সংসারে এসেছে স্বচ্ছতা। তবে প্রাণীসম্পদ বিভাগের সহযোগিতা পেলে আরো বেশি লাভবান হওয়া সম্ভব বলেও জানান খামারি সুমন মিয়া।

 

 

জানা যায়, ২০১৫ সালে অভাবের সংসারে বোঝা টানতে পাড়ি দেন দুবাই। দীর্ঘ ৪ বছর পর থাকার পর ২০১৯ সালে এসে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে ৪০০ খাকি ক্যাম্বেল হাঁস দিয়ে শুরু করেন হাঁস পালন।

 

 

তবে শুরুতেই যেন স্বপ্ন ভেঙে যাওয়ার উপক্রম। ৪০০ হাঁসের মধ্যে ৩০০ হাঁসই মারা যায়। তবে কঠোর পরিশ্রম করে বর্তমানে হাঁস পালনে স্বাবলম্বী হয়েছেন তিনি।

 

 

খামারি সুমন মিয়া বলেন, বর্তমানে আমার খামারে আছে ২৫০টি খাকি ক্যাম্বেল হাঁস। হাঁসের খামার থেকে প্রতিদিন ১৫০-১৬০টি করে ডিম পাই। বর্তমানে ১০০টি ডিম বিক্রি করছি ১২০০ টাকা করে। এতে প্রতি মাসে আয় হয় প্রায় ২৫-৩০ হাজার টাকা।

 

 

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাশিদুল হক জানান, সুমনের দেখাদেখি বেকার যুবকরা হাঁস পালনে এগিয়ে আসলে তাদের সহযোগিতা করা হবে। পরবর্তীতে কোন প্রকার সাহায্য হলেও সহযোগিতা করা হবে।

 

তথ্যসূত্রঃ আধুনিক কৃষি খামার