গোপালভোগ আমের বিকল্প নতুন জাতের আম বারি ১৮

চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম মৌসুমই শুরু হয় গোপালভোগ আম দিয়ে। তাই অনেকের কাছেই আমটি অনেক বেশিই জনপ্রিয়। তবে আক্ষেপের বিষয় গোপালভোগ আমটি বাজারে বেশি দিন পাওয়া যায় না।

 

 

কারণ গোপাল ভোগ আমের ফলনই হয় কম। আর বেশি ফলনের আম উদ্ভাবন নিয়ে কাজ শুরু করেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. জমির উদ্দীন।

 

 

এদিকে তার দীর্ঘ গবেষণায় মিলেছে সুখবর। গোপালভোগের সাথে বারি আম-১ এর ক্রস করে নতুন হাইব্রিড আম বারি ১৮ আম উদ্ভাবন করেছেন এই ফল বিজ্ঞানী। ইতিমধ্যেই বারি আম ১৮ নামে নতুন হাইব্রিড আমের এ জাতটির নিবন্ধন প্রত্যায়নপত্র দিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়ের জাতীয় বীজ বোর্ড।

 

 

আমটির বৈশিষ্টের কথা বলতে গিয়ে ড. জমির উদ্দীন বলেন, ল্যাংড়া আম ছাড়া অন্য কোনো আমে তেমন কোন সুঘ্রান পাওয়া যায় না। তবে নতুন এ জাতটিতে মিলেছে ল্যাংড়া আমের মতই সুঘ্রান। এছাড়াও আমটির ফলন বেশি এবং গড় ওজন প্রায় ২৪০ গ্রাম। এর ভক্ষণযোগ্য অংশ ৭৫ ভাগ।

 

 

মিষ্টিতার দিক থেকেও অনেক এগিয়ে নুতন এ জাতের আমটি। এ জাতটির মিষ্টতার পরিমান শতকরা ২৪ দশমিক ৬৭ ভাগ। নতুন এ জাতের আম মধ্য জুন থেকে পাকা শুরু করে জুনের শেষ পর্যন্ত গাছে থাকে।

 

 

তাই যারা গোপালভোগ আমের মত আম খাওয়ার কথা ভাবেন তাদের জন্য এ জাতটি অন্যতম। অন্যদিকে গোপালভোগ আমের গাছে ফলন কম হওয়ার কারণে কৃষকরাও গাছটির প্রতি আগ্রহ হারান। সেদিক বিবেচনায় নতুন জাতটির যেহেতু ফলন বেশি হয়, সেহেতু এটি চাষে আগ্রহী হবেন আম চাষিরা।

 

 

এখন পযন্ত বারি থেকে মুক্তায়িত ১৮টি আমের জাতের মধ্যে ১৪টি জাত মুক্তায়ন করা হয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ আঞ্চলিক উদ্যানতত্ব গবেষণা কেন্দ্র থেকে। এর মধ্যে চারটি হাইব্রিড জাতের উদ্ভাবন করেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ আঞ্চলিক উদ্যানতত্ব গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. জমির উদ্দীন।

 

 

এ প্রসঙ্গে চাঁপাইনবাবগঞ্জ আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মুখলেসুর রহমান জানান, বারি আম ১৮ নামে নতুন হাইব্রিড আমের জাতটি চূড়ান্তভাবে নিবন্ধন পাওয়ার পর এ জাতটি সম্প্রসারণের জন্য দ্রুত উদ্যোগ নেয়া হবে এবং এই কেন্দ্র থেকে চারা কলম তৈরী করে কৃষক পর্যায়ে সরবরাহ করা হবে।

 

তথ্যসূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন