দেশি মুরগি পালনে দ্বিগুণ লাভবান হওয়ার গোপন কৌশল

দেশি মুরগি পালনে অধিক লাভবান হওয়ার কৌশল খামারিদের ভালোভাবে জেনে রাখা দরকার। বর্তমানে অনেকেই তাদের খামারে দেশি মুরগি পালন করছেন। তবে সঠিক ব্যবস্থাপনা ও কিছু কৌশল না জানার কারণে অনেকেই খামারে লোকসান করে থাকেন। তাই দেশি মুরগি পালনের কৌশলগুলো রপ্ত করতে হবে। আসুন আজকে জেনে নেই দেশি মুরগি পালনে অধিক লাভবান হওয়ার কৌশল সম্পর্কে-

 

 

দেশি মুরগি পালনে অধিক লাভবান হওয়ার কৌশলঃ

দেশি মুরগির উৎপাদন ক্ষমতা বিদেশী মুরগির চেয়ে তুলনামূলকভাবে কম, উৎপাদন ব্যয়ও অতি নগণ্য। দেশি মুরগি অধিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন। এদের মাংস ও ডিমের মূল্য বিদেশী মুরগীর তুলনায় দ্বিগুণ, এর চাহিদাও খুবই বেশী। দেশী মুরগির মৃত্যুহার বাচ্চা বয়সে অধিক এবং অপুষ্টিজনিত কারণে আশানুরূপ নয়। বাচ্চা বয়সে দেশি মোরগ-মুরগির মৃত্যুহার কমিয়ে এনে সম্পূরক খাদ্যের ব্যবস্থা করলে দেশি মুরগি থেকে অধিক ডিম ও মাংস উৎপাদন করা সম্ভব।

 

 

জাত নির্বাচনঃ

প্রথমে আসি মুরগির জাতে। ব্রয়লার খামারের হাইব্রিড মুরগি উঠোনে ছেড়ে পালন করা যায় না। তাই খাঁটি জাতগুলোকে বাছতে হবে। যাতে ছেড়ে পালন করা যায় যেমন, দেশি , দেশি গলাছিলা বা হিলি ,

 

 

মুরগির পরিচর্যাঃ ছেড়ে পালন পদ্ধতিতে মুরগি পরিচর্যার জন্য সময় বা লোকজনের তেমন দরকার পড়ে না। তারপরও কিছু বিষয় লক্ষ্য রাখতে হয়। সকালে মুরগির ঘর খুলে কিছু খাবার দিতে হবে। সন্ধ্যায় মুরগি ঘরে ওঠার আগে আবার কিছু খাবার দিতে হবে।

 

 

ঘরে উঠলে দরজা বন্ধ করে দিতে হবে।মুরগির পায়খানা ঘরের মেঝেতে যেন লেপ্টে না যায় সেজন্য ঘরের মেঝেতে ধানের তুষ, করাতের গুঁড়া ২.৫ সে.মি. (১ ইঞ্চি) পুরু করে বিছাতে হবে। পায়খানা জমতে জমতে শক্ত জমাট বেঁধে গেলে বারবার তা উলট-পালট করে দিতে হবে এবং কিছুদিন পর পর পরিষ্কার করতে হবে। এ পদ্ধতিতে দেশি মোরগ পালন করা গেলে প্রায় তেমন কোন খরচ ছাড়াই ভাল একটা মুনাফা পাওয়া যাবে।

 

 

প্রতিবন্ধকতা ও সমাধানঃ মুরগি পালনে প্রধান প্রতিবন্ধকতা রাণীক্ষেত রোগ, এ রোগের প্রচলিত নাম চুনা মল ত্যাগ। পাখি হা করে ঠোঁট তুলে শ্বাস নেয়। ঝিমুনী ও ধীরে ধীরে পক্ষাঘাত হয়।

 

 

রাণীক্ষেত রোগের প্রতিরোধ ও চিকিৎসাঃ

১। প্রতিষেধক টিকা প্রয়োগ এ রোগের হাত থেকে পরিত্রাণের একমাত্র উপায়।

 

২। আক্রান্ত মুরগীকে অবশ্যই অন্যান্য মুরগির সংস্পর্ষ থেকে সরিয়ে ফেলতে হবে।

 

৩। রোগাক্রান্ত মোরগ-মুরগির ক্ষেত্রে দ্বিতীয় পর্যায়ের ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ থেকে রক্ষা ৩ করার জন্য উচচক্ষমতা সম্পন্ন এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা যেতে পারে।

 

৪। মরে যাওয়া মুরগি ২-৩ হাত মাটির নীচে পুঁতে ফেলতে হবে।

 

তথ্যসূত্রঃ আধুনিক কৃষি খামার